পটুয়াখালী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত পটুয়াখালী বাস টার্মিনাল বর্তমানে চরম অব্যবস্থাপনায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিনের অযত্ন ও অবহেলায় এই বাস টার্মিনালটি এখন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ভোগান্তির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

২০০৩ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই টার্মিনালটির বর্তমান অবস্থা করুণ। ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে সামান্য বৃষ্টিতেই পুরো এলাকা পানিতে ডুবে যায়। কাদাপানি ও অসংখ্য খানাখন্দে ভরপুর টার্মিনালটি যেন ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। বর্ষার সময় টার্মিনালে হাঁটুসমান পানি জমে থাকে। যাত্রীরা বাস থেকে নামার সময় কাদাপানি পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে বাধ্য হচ্ছেন। নারী ও শিশু যাত্রীদের জন্য এই পরিস্থিতি বিশেষভাবে অসুবিধাজনক।

যাত্রী মো. তামিম, যিনি নিয়মিত পটুয়াখালী আসেন, বলেন, “বাস থেকে নামার সময় কাদাপানিতে নেমে পড়তে হয়। দ্রুত এই টার্মিনালটির সংস্কার প্রয়োজন।”

বলে তিনি জানান। টার্মিনালের কার্যক্রম অকার্যকর থাকায় মহাসড়কের পাশে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করানো হচ্ছে। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে।জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ইমাম হোসেন নাসির জানান, “টার্মিনালের পরিস্থিতি এমন যে, সেখানে বাস পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এতে রাস্তায় যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়ছে।”

পটুয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজু জানান, আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য একটি স্থাপত্যনন্দন নকশা তৈরি করা হয়েছে এবং এটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলমান। এছাড়া, বর্তমান টার্মিনালের সমস্যা সাময়িকভাবে সমাধানের জন্য মেরামত কাজ শিগগিরই শুরু হবে।

পটুয়াখালীবাসীর প্রত্যাশা, নতুন টার্মিনাল নির্মাণের পাশাপাশি পুরাতন টার্মিনালের অব্যবস্থাপনা দ্রুত নিরসন করা হবে, যাতে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমে এবং সড়ক নিরাপদ হয়।