
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পৌরশহরে যত্র-তত্র মোটর সাইকেল, রিকশা, অটো রিকশা, গাড়ি পাকির্ংসহ ইট, পন্য বোঝাই ট্রাক, পিক-আপ, থ্রি-হুইলারের দাপটে যানজটের শহরে পরিনত হয়েছে। যেন কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেন না কেউ। এরফলে সড়কে খানা খঁন্দক, অপরদিকে নাগরিকদের দুর্ভোগ বাড়লেও পৌরসভার কোন দৃশ্যমান এ্যাকশন দেখা যাচ্ছেনা। এতে সমুদ্র উপকূলের এ শহরটি এখন যানজটের শহরে পরিনত হয়েছে। তবে পৌর প্রশাসক নারিকদের দুর্ভোগ লাঘবে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলছেন।
পৌরসভা ও তথ্য সূত্রে জানা যায়, পৌরসভা এলাকায় পৌরসভার অনুমোদিত ২০০ রিকশা, ৬০০ মিশুক, ৫০০ অটো রিকশা, ৫০ ইঞ্জিন ভ্যান রয়েছে। তবে বাস্তবে এর সংখ্যা হবে দ্বিগুনের বেশী বলে জানায় স্থানীয়রা। কলাপাড়া পৌর শহরে নির্দিষ্ট কোন পর্কিং স্পট নেই। শহরের সোসাইটি সিনেমা হল এলাকায় একটি রিকশা ষ্ট্যান্ড থাকলেও সেটি অবৈধভাবে বিক্রী করে টাকা পকেটস্থ করেছেন একটি মহল। শহরের কয়েকটি স্পটে ড্রাইভাররা অবৈধ পাকির্ং করছেন। অধিকাংশ গাড়ী পার্কিং করা হচ্ছে ব্যস্ততম বানিজ্যিক এলাকায়। ফেরীঘাট এলাকায় বাঁশ দিয়ে তৈরী করা পন্য বোঝাই পরিবহন নিয়ন্ত্রন কৌশল এখন আর কোন কাজে লাগেনা। এর দুপাশে ভারী যান আটকে যানজট দেখা দিয়েছে। এছাড়াও নিয়ন্ত্রনের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনা না করায় এ দূরবস্থা দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিনিয়ত চিরচেনা এ পৌর শহরের নতুন বাজার, ফলপট্টি, কলেজ রোড, লঞ্চঘাট সড়ক, জুতাপট্টি, মনোহর পট্টি, ওয়াপদা সড়কের দুপাশে দেখা যায় শত শত মোটর সাইকেল, অটো রিকশা, ইঞ্জিন ভ্যান অবৈধ পার্কিং করা রয়েছে। এরমধ্যে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের জন্য ছাড়াও যাত্রী পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত শত শত ভাড়াটে মোটর সাইকেল রয়েছে। এছাড়াও ইট, পন্য বোঝাই ট্রাক, পিক-আপ, থ্রি-হুইলারের অবাধ চলাচলে যানজটের শহরে পরিনত হচ্ছে কলাপাড়া পৌর শহরটি। সড়কের তুলনায় যানবাহনের আধিক্য এবং ঘাতক যান থ্রি-হুইলারের অবাধ চলাচলে পায়ে হেঁটে চলাচল করাই অনেক সময় দূষ্কর হয়ে পড়ে।
এবিষয়ে কলাপাড়া পৌর প্রশাসক, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘবে পৌরসভা কাজ করছে। ইতিমধ্যে পৌর এলাকায় পন্য বোঝাই ভারী যানবাহন চলাচলে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শহরে ইট, পন্য বোঝাই ট্রাক, পিক-আপ, থ্রি-হুইলার প্রবেশ করা যাবেনা। এ বিধি-নিষেধ ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী এ্যাকশন নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন