চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫২৭ জন এবং ঢাকার বাহিরে ১ হাজার ৩৯ জন।

চলতি মাস শেষ হতে এখনও ১১ দিন বাকি। এর মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২০ জন। দেশে কোনো বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস) ডেঙ্গুর এমন ভয়াবহ রূপ আর কখনো দেখা যায়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য–উপাত্ত বলছে, দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে গত বছর সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ওই বছরের প্রথম তিন মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছিল ৯ জনের। আক্রান্ত হয় ৮৪৩ জন। আর ২০২২ সাল থেকে ২০০৫ সালে পর্যন্ত বছরের প্রথম তিন মাসে কারও মৃত্যু তথ্য দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫২৭ জন এবং ঢাকার বাহিরে ১ হাজার ৩৯ জন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২০ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭ জন এবং ঢাকার বাহিরে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ জন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কার্যকর এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে না পারলে এবারও ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এডিস মশা নির্মূলে প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি দেশের সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধমূলক সমন্বয় সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমন কথা বলেন।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রোগীকেও দ্রুত হাসপাতালে আসার অনুরোধ থাকবে। কেননা দেরি করলে ঝুঁকি বাড়ে। সমন্বয় যেন ভালো হয় তাই এ সভার আয়োজন করা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর বিটিআই আমদানির ঠিকাদারি দেওয়া হয়েছিল তবে তারা সঠিকভাবে কাজ করেনি। তারা মিসডিক্লারেশন করেছে। এজন্য আমরা নিজস্বভাবে আমদানি করব। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে বিটিআই বায়োলজিক্যালি উত্তম। এডিস মশার জন্য প্রতিটি দফতর ও সংস্থাকে দায়িত্বশীল হতে হবে।

সভায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দক্ষিণের মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত সব রোগীর সময় মতো চিকিৎসা সেবা দিতে হবে। কোনো রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে পাঠানো যাবে না। ২০২৩ সালের ডেঙ্গুতে নারী ও শিশু বেশি কেন মারা গেল সেটি নিয়ে গবেষণা করে ব্যবস্থা নিতে হবে। আর, মানুষকে সঠিক তথ্য জানাতে হবে।