কৃষকদের বীজ সংরক্ষণের আহবান জানিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, পরবর্তী বছরের জন্য বীজ সংরক্ষণ করবেন, যাতে অন্য কারো কাছে যেতে না হয়। বিআরডিসি যে গমের বীজ দিয়েছে তা অঙ্কুরিত হয়নি এমন অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে এমন কোন ঘটনা ঘটলে কেউ ছাড় পাবে না। যেসব ডিলার এসব নিম্নমানের বীজ দিয়েছে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। তারা কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করতে পারবে না।

আজ শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মাঠ পয্যায়ে খামারি মোবাইল অ্যাপের কাযর্কারিত যাচাই ও বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ এর প্রদর্শনী ট্রায়ালের মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সচিব আরো বলেন, কৃষি একটি পবিত্র জাগয়া। কৃষিতে কোন দুই নাম্বারি চলবে না। যুদ্ধের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার কিনেছে। ৩৫০ ডলারের সার ১১৫০ ডলার দিয়ে কিনতে হয়েছে। তারপরেও আমরা সারের দাম বাড়াইনি। জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ঋণ কিছুটা শোধ করার জন্য বঙ্গবন্ধু-১০০ নামে ধানের নাম রেখেছি। এই ধান জিংক সম্মৃদ্ধ। এই ধানের ভাত খেলে পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে।
এর আগে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ক্রপ জোনিং প্রকল্প, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ও ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউট এ মাঠ দিবসের আয়োজন করে।

মাঠ দিবসে সভাপতিত্বে করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। এ মাঠ দিবসে কৃষক-কৃষানীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে কৃষি মন্ত্রণালযের সচিব ওয়াহিদা আক্তার মাঠ পরিদর্শন করেন।