৪৯তম বিশেষ বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টার দিকে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান এ তথ্য জানান।
এতে শিক্ষা ক্যাডার পদে ৬৬৮ জনকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত ভাবে সুপারিশ করা হয়েছে।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাসুমা আফরীনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৯তম বিশেষ বিসিএসে ৬৮৩টি শূন্যপদের মধ্যে ৬৬৮টি পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী সাময়িক ভাবে মনোনয়ন প্রদান করা হলো। কয়েকটি ক্যাডারে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় ১৫টি পদে প্রার্থী মনোনয়ন করা সম্ভব হয়নি।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রভাষক পদে বাংলা বিভাগে ৬১ জন, ইংরেজিতে ৫০, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৫৫, দর্শনে ৩০, অর্থনীতিতে ৪০, প্রাণিবিদ্যায় ১৫, ইতিহাসে ৩০, সমাজকল্যাণে ২৫, রসায়নে ৩০, ইসলামী শিক্ষায় ১৫, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে ৩২, পদার্থবিদ্যায় ২৫, উদ্ভিদবিদ্যায় ২৪ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, সমাজবিজ্ঞানে ১৫ জন, গণিতে ৩০, ভূগোলে ১৬, হিসাববিজ্ঞানে ৩০, মার্কেটিংয়ে ১০, ব্যবস্থাপনায় ৩২, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ে ২০, মনোবিজ্ঞানে ১০, কৃষিবিজ্ঞানে পাঁচ, পরিসংখ্যানে ১৫, সংস্কৃতে পাঁচ, গার্হস্থ্য অর্থনীতিতে ৬, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিতে ২৫ এবং খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের জন্য দু’জনকে ক্যাডার পদে নিয়োগে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলোতে থাকা শূন্যপদে ১৩ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রভাষক পদে ভূগোলে দু’জন, শিক্ষায় ছয় জন, অর্থনীতিতে দু’জন, ইংরেজিতে দু’জন এবং ইসলামিক আদর্শ বিষয়ে তিন জনকে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়।
পিএসসি সূত্র জানায়, সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক সংকট কাটাতে শিক্ষা ক্যাডার নিয়োগে গত ২১ জুলাই ৪৯তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি।
২২ জুলাই থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত এ বিসিএসে অনলাইনে আবেদন নেওয়া হয়। এতে আবেদন করেন তিন লাখ ১২ হাজার ৭৫২ জন। গত ১০ অক্টোবর ৪৯তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ টাইপ) অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন এক লাখ ৭৬ হাজার ৬৭০ জন। বাকি এক লাখ ৩৬ হাজার ৮২ জন প্রার্থী এ বিসিএসে আবেদন করেও অংশ নেননি। অর্থাৎ, আবেদন করেও পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া হার প্রায় ৪১ শতাংশ।
ছয় কর্মদিবসের মধ্যে এ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে পাস করেন এক হাজার ২১৯ জন। তাদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয় গত ০২ নভেম্বর।