বিশ্ব টেলিভিশন দিবস আজ

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৫ । ১৪:১৬ | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৫ । ১৪:১৬

ষ্টাফ করেসপন্ডেন্ট:-

টেলিভিশন প্রতিটি বাড়ির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি সব বয়সীদের জন্য ইনফোটেইনমেন্টের বস্তু। শিশুদের কার্টুন থেকে শুরু করে বয়স্কদের জন্য সংবাদ বা সিনেমা সব মিলিয়ে টেলিভিশন একটি পরিবারের কেন্দ্রবিন্দু। টেলিভিশন যুগ যুগ ধরে একইরকম ভাবে গুরুত্বপূর্ণ সবার কাছে।

আজ ২১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) বিশ্ব টেলিভিশন দিবস। ১৯২৬ সালে আজকের এই দিনে টেলিভিশন উদ্ভাবন করেন জন লোগি বেয়ার্ড। টেলিভিশন উদ্ভাবনের এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে আজ সারা দেশে বিশ্ব টেলিভিশন দিবস পালন করা হয়।

টেলিভিশন শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘টেলি’ অর্থ দূরত্ব আর লাতিন শব্দ ‘ভিশন’ অর্থ দেখা। টেলিভিশনে একই সঙ্গে ছবি দেখা ও শব্দ শোনা যায়।

টেলিভিশনই প্রথম বিশ্বটাকে মানুষের ঘরের মধ্যে এনেছিল।

টেলিভিশন আবিষ্কারের পর রুশ বংশোদ্ভুত প্রকৌশলী আইজাক শোয়েনবারগের কৃতিত্বে ১৯৩৬ সালে প্রথম টিভি সম্প্রচার শুরু করে বিবিসি। আর বাণিজ্যিক ভাবে টেলিভিশন চালু হয় ১৯৪০ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর টেলিভিশনের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সূচিত হয়।

পঞ্চাশের দশকে টেলিভিশন গণমাধ্যমের ভূমিকায় উঠে আসে। বাংলাদেশ টেলিভিশন আসে ১৯৬৪ সালে। ঐ বছরের ২৫ ডিসেম্বর সাদা-কালো সম্প্রচার শুরু করে। ১৯৮০ থেকে শুরু হয় রঙিন সম্প্রচার। বর্তমানে সরকারি টেলিভিশন হিসেবে বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড ও সংসদ টিভি চালু রয়েছে।

এছাড়া দেশে ৪৫টি বেসরকারি টেলিভিশন অনুমোদন পেয়েছে, যার মধ্যে ৩৫টি সম্প্রচারে রয়েছে।

টেলিভিশনের মূল ধারণা হচ্ছে শব্দ ও ছবিকে বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে ট্রান্সমিট করা। মূলত তিনটি প্রযুক্তির সমন্বয়ে সৃষ্ট হয় টেলিভিশনের আউটপুট। টিভি ক্যামেরা; যার কাজ হচ্ছে শব্দ ও ছবিকে তড়িৎ-চৌম্বকীয় সংকেতে রূপান্তর করা, টিভি ট্রান্সমিটার; যার কাজ হচ্ছে এই সংকেতকে বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে প্রেরণ করা এবং টিভি সেট (রিসিভার), যার কাজ হচ্ছে এই সংকেত গ্রহণ করে তাকে আগের ছবি ও শব্দে রূপান্তরিত করা।

সাধারণত ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবিকে দুইভাগে ভাগ করা যায়- স্থিরচিত্র ও চলচ্চিত্র। স্থিরচিত্রের জন্য সাধারণ ক্যামেরা ও চলচ্চিত্রের জন্য মুভি বা ভিডিও ক্যামেরার ব্যবহার হয়। প্রকৃতপক্ষে অনেকগুলো স্থিরচিত্রের সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় চলচ্চিত্র। ভিডিও ক্যামেরা দ্রুত গতিতে পরপর অনেকগুলো স্থিরচিত্র গ্রহণ করে। এই ছবিগুলোকে যখন একই গতিতে পরপর প্রদর্শন করা হয় তখন আমাদের চোখে এগুলো চলচ্চিত্র বলে মনে করে। ফ্রেমে এই দ্রুতগতিতে ছবি পরিবর্তনের কারগরি কৌশলটি আমাদের চোখে ধরা পড়ে না।

উপদেষ্টা সম্পাদকঃ রোমান চৌধুরী।

প্রকাশকঃ  সানজিদা রেজিন মুন্নি।

সম্পাদকঃ কামরুজ্জামান বাঁধন।

নির্বাহী সম্পাদকঃ মোঃ জালাল উদ্দিন জুয়েল।

মোবাইলঃ ০১৭১১-৯৫৭২৬৩, ০১৭১২-৮৩১৪৪৭

মেইলঃ rhbnews247@gmail.com, CC: rhbnews.nd@gmail.com

ঢাকা অফিসঃ এ্যাড পার্ক, ওয়াজী কমপ্লেক্স (৯ম তলা), ৩১/সি, তোপখানা রোড, সেগুনবাগিচা, ঢাকা -১০০০.

error: Content is protected !!