পটুয়াখালীর পায়রা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে সদর উপজেলার চান্দখালী ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার পিপড়াখালী গ্রামের শত শত পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। নদীর গ্রাসে বিলীন হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, বাজার, রাস্তা-ঘাটসহ সহস্রাধিক বসতবাড়ি।

স্থানীয়রা জানান, টানা ভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে বহু পরিবার অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। কেউ কেউ পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি ও কবরস্থান হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারা আর ত্রাণ নয়— স্থায়ী বেড়িবাঁধের দাবি জানিয়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট ১ হাজার ৩৩৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার চান্দখালী ও মির্জাগঞ্জের পিপড়াখালী অংশ সবচেয়ে নাজুক। তিন দফা সংস্কার করেও শেষ রক্ষা হয়নি। বর্তমানে প্রায় ২২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত এবং ৬ কিলোমিটার সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন,
“যে সব স্থানে বেড়িবাঁধ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, সেখানে আমরা অস্থায়ীভাবে কাজ করছি। খুব অল্প সময়ে স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

পায়রা নদীর এই ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে শুধু ঘরবাড়ি নয়, হারিয়ে যাচ্ছে হাজারো মানুষের তিলে তিলে গড়ে তোলা জীবনের স্বপ্ন।