ঈদের ছুটিতে গত শনিবার, রবিবার ও আজ সোমবার মৌলভীবাজারের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটক-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লেগেই ছিল। দর্শনীয় স্হানগুলোতে ভ্রমন পিপাসুদের ভিড় ছিল লক্ষ্যনীয়।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ঈদের দিন শনিবার দুপুর থেকে পর্যটকের আগমন শুরু হয়। রবিবারও ছিল উপচেপড়া ভিড়। আজ সোমবারও দর্শনার্থীদের পদভারে মুখর ছিল লাউয়াছড়া।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্হাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ের ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার, রবিবার ও আজ সোমবার এই তিনদিনে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে মোট দর্শনার্থী এসেছে ৮ হাজার ১৯৬ জন। এরমধ্যে বিদেশি পর্যটক ছিল ১৩ জন। এ তিনদিনে রাজস্ব আয় হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ২৬৩ টাকা।

চা-বাগানগুলোতে এখন চলছে ভর মৌসুম। চা-বাগান পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। চা-কন্যাদের দু’টি পাতা একটি কুঁড়ি তোলার দৃশ্য দেখতে চা-বাগানগুলোতেও ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। মনোমুগ্ধকর এসব চা-বাগানের দৃশ্য ঘুরে ঘুরে দেখা আর সেলফি তোলায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন আগতরা।

শ্রীমঙ্গলের বন্যপ্রাণী সেবা ফাউণ্ডেশনে শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পরার মতো। বিশেষ করে বিভিন্ন পশু-পাখি আর বন্যপ্রাণী দেখে শিশুরা খুব আনন্দে মেতেছিল।

শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দুরে মাছের অভয়াশ্রম ও পাখির অভয়ারণ্য বাইক্কা বিল দেখতেও ছুটে গেছেন নারী শিশুসহ অনেক দর্শনার্থী।

এছাড়াও লাউয়াছড়া খাসিয়াপুঞ্জি ও মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জিতেও ছিল দর্শনার্থীদের আনাগোনা। অনেকে ছুটে গেছেন নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠির পাড়াগুলোতে। খাসিয়া, মণিপুরী, ত্রিপুরা, গারোসহ বিভিন্ন পল্লি ঘুরে তাদের বিচিত্র জীবনধারা ও সংস্কৃতি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন আগতরা।

এদিকে কমলগঞ্জের মাধবপুর লেকেও ছিল ভ্রমনপিপাসুদের ভিড়। তাছাড়া শ্রীমঙ্গলের বধ্যভুমি ৭১-এ ঈদের দিন দুপুর থেকে আজ পর্যন্ত ভিড় লেগেই ছিল।

শ্রীমঙ্গল পর্যটন পুলিশ সুত্র জানায়, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রতিটি পর্যটন স্পটে পর্যটন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও পর্যটন পুলিশের মোবাইল টিম কাজ করছে।