গ্রীষ্মকালীন নানারকম সবজিতে ভরপুর ঢাকার বাজার। ফলে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। তবে স্বস্তি নেই মাছ-মাংসসহ মুদি পণ্যের বাজারে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মাত্রাতিরিক্ত দামে নাভিশ্বাস উঠেছে সীমিত আয়ের মানুষের।

শুক্রবার (১৬ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, কাঁকরোল ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, ধুন্দল ৫০-৬০ টাকা, কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।

এদিকে আমদানি শুরুর পর থেকে বাজারে কমেছে পেঁয়াজের দাম। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা। যা ১০ দিন আগে ১০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। সবজির মতো কিছুটা কমেছে মুরগির দাম।

আজ প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, সোনালী প্রতি কেজি ২৮০ এবং লাল লেয়ার ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম কমলেও এখনো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। বাজারভেদে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকায়। খাসি মাংস কিনতে গুণতে হচ্ছে ১২৫০ টাকা।

মাংসের মতো বেড়েছে মাছের দামও। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, চাষের কই ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, শিং মাছ (ছোট) প্রতি কেজি ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা, গুড়া মাছ (কাচকি) ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, ট্যাংরা ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, রুই মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, সিলভার কার্ভ (ছোট) ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, বড় কাতল প্রতি কেজি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে চাল, ডাল, সয়াবিন, আটা-ময়দা ও চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল হয়ে আছে। ভোজ্যতেল লিটারপ্রতি ১০ টাকা কমিয়ে দাম নির্ধারণ করা হলেও নতুন দামে তেল পাচ্ছেন না ভোক্তারা। ফলে আগের দামে অর্থাৎ প্রতি লিটার ১৯৯ টাকায় কিনতে হচ্ছে। চিনির দাম আগের মত কেজিপ্রতি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি।