পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. শামীম আল আজাদকে ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) করা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে হাসপাতাল ও কলেজ ক্যাম্পাস। চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা তার পুনর্বহাল, সঠিক তদন্ত এবং নিরাপত্তার দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে আন্দোলনকারীরা হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোর সেবা বন্ধ রাখলেও, জরুরি বিভাগের সেবা চালু রাখা হয়েছে। আন্দোলনের মূল দাবিগুলো হলো—ডা. শামীম আল আজাদকে পুনর্বহাল করা, সঠিক তদন্ত ও পোস্টমর্টেম নিশ্চিত করা, হাসপাতালের নিরাপত্তা জোরদার করা এবং আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম ও পর্যাপ্ত জনবল নিশ্চিত করা।

ইন্টার্ন চিকিৎসক সাদিয়া রহমান রিমি জানান, “ঘটনার সময় আমরা রোগীকে চিকিৎসা প্রদান করেছি, তবে রোগীর পরিবার স্যারের উপস্থিতি ছাড়া চিকিৎসা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে হুমকি দেয়।” পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, “আইসিইউসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ঘাটতি রয়েছে, এরপরও আমাদের শিক্ষককে হয়রানি করা হয়েছে। আমরা তদন্তের পরিমাণ দাবি করছি।”

এছাড়াও, আন্দোলনকারীরা দাবি জানিয়েছেন যে, চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা হোক এবং ‘মব জাস্টিস’ বন্ধ করা হোক। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলরুবা ইয়াসমিনা লিজা জানান, বহির্বিভাগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, তবে জরুরি বিভাগ চালু রাখা হয়েছে।

ইন্টার্ন চিকিৎসক সোসাইটির সভাপতি মো. সবুর সুমন জানিয়েছেন, “চিকিৎসকদের নিরাপত্তাহীনতার কারণে এই কর্মসূচি চালানো হচ্ছে। একজন চিকিৎসককে মিথ্যা অভিযোগে ওএসডি করা হয়েছে, তাই আমরা আপাতত আউটডোর বন্ধ রেখেছি।”

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, কলেজে পরীক্ষার কার্যক্রম চলমান থাকলেও কিছু শিক্ষার্থী এই আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন।

এ পরিস্থিতিতে হাসপাতালের সেবা ব্যাহত হওয়ায় রোগীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। তবে, আন্দোলনকারীরা তাদের দাবির প্রতি দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মানলে বৃহত্তর কর্মসূচি নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।