পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর গ্রামে নিজ ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় আলমগীর হোসেন তালুকদার নামে মধ্যবয়সী এক কৃষকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘরের মধ্যে হাত পা বাধা ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। গত মঙ্গলবার থেকে স্বজনরা তাকে মোবাইলে পাচ্ছিল না। আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগম জানান, গত মঙ্গলবার স্বামীর সাথে তার শেষ সাক্ষাৎ হয়েছে। ঐদিন আলমগীর হোসেন স্ত্রী ও মেয়ে কনাকে অটোরিকশায় উঠিয়ে দেন তার পৈত্রিক বাড়ি বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য। এরপর থেকে আলমগীরের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। বাড়িতে এসে দেখতে পান ঘরে তালা দেওয়া। আজ সকালে মাটি কাটার বদলা শ্রমিক নেয়া হলে ঘর থেকে দুর্গন্ধ আসতে থাকলে তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে শ্রমিকরা। এ সময়  হাত-পা বাঁধা ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় নিখোঁজ আলমগীরের। কারা কি কারনে তার স্বামীকে হত্যা করেছে তা বলতে পারছে না,  তবে তাদের শাস্তির দাবি জানান স্ত্রী আমেনা বেগম।

স্বজনরা জানাযন,  আলমগীর হোসেন আউলিয়াপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে পাওয়া জমিতে ঘর উঠিয়ে বসবাস করতেন। স্ত্রী সন্তানরা ঢাকায় থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাড়িতে থাকতো এবং শাকসবজির চাষ করতেন। তারাও হত্যার বিচার দাবি করেন।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলমগীর হোসেনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। দেহ পচে পোকা হয়ে গেছিল। সদর থানা পুলিশ ছাড়াও পিবিআই ও সিআইডি’র লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং নমুনা সংগ্রহ করেছে। এটি একটা  হত্যাকাণ্ড সেটা নিশ্চিত,  তবে তারা কি উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা  চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবার থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

নিহত আলমগীর হোসেন তালুকদার স্ত্রী,  এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

বর্তমানে আউলিপুরে শশুরের কাছ থেকে জমি পেয়ে বাড়ি করে স্থায়ীভাবে বসবাস করলেও তার বাবার বাড়ি পার্শ্ববর্তী জৈনকাঠী ইউনিয়নের ঠেঙ্গাই গ্রামে।