পটুয়াখালীতে খালের উপর বক্স কালভার্ট নির্মাণে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এইচ এম মাহবুব হোসেনের যোগসাজশে কাজে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। বর্তমানে এনিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে কালভার্ট নির্মাণ কাজ অনিয়মের প্রতিবাদ করলেই এলাকাবাসীকে চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন।

জানাগেছে, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের লালমেয়া স্কুলের পাশেই খালের উপর ১১ মিটারের একটি বক্স কালভার্টের কাজ পান মেসার্স কোহিনূর এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার কাজ শুরু হয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এবং ব্যয় মূল্য ধরা হয় প্রায় পঁচিশ লক্ষ টাকা। যা কাজ শেষ করতে হবে চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে। এদিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বক্স কালভার্টটির একপাশ অতিরিক্ত ঢালাইয়ের কারণে হেলে পড়েছে এবং কয়েক জায়গায় ফাটলের দেখা যায়। আর সেই হেলে পড়াকে ঠেকাতেই তড়িঘড়ি করে মাটি দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। যার ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কাজে অনিয়ম হচ্ছে সেই কথা বারবার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানালেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে দাবি এলাকাবাসীর।

এনিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানায়, কাজ ঠিকভাবে হচ্ছে না বলে প্রতিবাদ করলে ঠিকাদারের লোকজন চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেয় তাদের। তাই ভয়ে কিছু বলছে না তারা শুধু দেখে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলছে প্রতিবাদ করে লাভ কি যার মায়ের নামে লাইসেন্সে কাজ চলে সেও একজন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। তাই অনিয়ম করলেও এক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার পক্ষেই কাজ করবে।তবে এলাকাবাসীর দাবি কাজটি যেন সুন্দর ভাবে করা হয়। আর যাতে কালভার্টটি দীর্ঘস্থায়ী হয়। কাজের দায়িত্বে থাকা গাজী মোঃ অলিউর রহমান নিজেই স্বীকার করে বলেন, আসলে ১০ ইঞ্চি ঢালাই থাকার কথা ছিলো কিন্তুু ভূলে সাড়ে ১৪ ইঞ্চি ঢালাই হয়। আর অতিরিক্ত ঢালাইয়ের কারনেই একপাশ হেলে পরে।

এনিয়ে পটুয়াখালী সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এইচ এম মাহবুব হোসেনের বক্তব্য নিতে গেলে তথ্য না দিয়ে উল্টো সাংবাদিকদের অনুমতি নিয়ে ভিডিও ধারন করতে বলেন এবং এক সাংবাদিকদের দিকে উত্তেজিত হয়ে তেড়ে আসেন।

পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উফফাত আরা জামান উর্মি জানান, কাজটি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম যে অংশটি হেলে পড়েছে সেই অংশটি ভেঙে নতুন করে কাজ করতে বলা হয়েছে। তাছাড়া কাজে কোন অনিয়ম করলে বিল বন্ধ করে দেয়া হবে। এছাড়া এক পিআইওর সাথে আরেক পিআইওর সম্পর্ক থাকবেই তাই বলে কাজে অনিয়ম করা যাবে না।