নির্বাচন কমিশনের কাছে থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা গ্রহণকারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ পাঁচ প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাচার হওয়ায় শোকজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব (ইসি) আখতার আহমেদ।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এনআইডি যাচাই সেবাগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এনআইডি সেবা গ্রহণকারী পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তৃতীয়পক্ষের কাছে তথ্য ফাঁস করেছে। প্রাথমিক তদন্তে এর প্রমাণ মিলেছে।’

অভিযুক্ত পাঁচ প্রতিষ্ঠান হলো- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইউসিবি ব্যাংকের উপায়, চট্টগ্রাম পোর্ট অথোরিটি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব।

মো. আখতার আহমেদ জানান, নির্বাচন কমিশনের কাছে থেকে এনআইডি সেবা গ্রহণ করে এমন পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তৃতীয় কোনো পক্ষের কাছে এনআইডি’র তথ্য ফাঁস করেছে যার প্রমাণ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে এটি ইচ্ছেকৃত কিনা তার প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বর্তমানে এনআইডি অনুবিভাগ থেকে ১৮২টি প্রতিষ্ঠান এনআইডি যাচাই সেবা নেয় বলে জানান সচিব। তবে কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের সেবা অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করছে, যা চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করছে।

এর আগে ২০২৩ সালের ৬ জুলাই একটি মার্কিন ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরসহ ব্যক্তিগত তথ্য ইন্টারনেটে উন্মুক্ত হয়ে আছে। এই অভিযোগের পর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ দাবি করেছিল, নির্বাচন কমিশনের এনআইডি সার্ভার সুরক্ষিত রয়েছে।