গত দু’দিন ধরে শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল ৬টা ও ৯টায় শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শনিবারও এখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, শ্রীমঙ্গলের ওপর দিয়ে দু’দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, গতকাল দুপুর ১২ টায় এখানে বাতাসের আদ্রর্তা ছিল ৩২ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ৪ নটিক্যাল মাইল অর্থাৎ ৭.৪০ কিলোমিটার।

শ্রীমঙ্গলে রাতে কনকনে শীত আর ঠাণ্ডায় জনজীবনে বেড়েছে দুর্ভোগ। সকালে স্কুল-কলেজ গামী ছাত্র-ছাত্রীদের কষ্ট বেড়েছে। কনকনে ঠাণ্ডা আর শীতে চা-শ্রমিকসহ ছিন্নমুল আর খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট বেড়েছে । সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই শীত অনুভুত হতে থাকে। রাত বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে শীত। তবে ভোরে সুর্য উঠে যাওয়ায় বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। তখন শীত অনুভুত হয় কম। জনজীবনে ফিরে আসে স্বস্থি।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মৌমিতা বৈদ্য জানান, উপজেলায় অনেকেই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমন দেখা দিয়েছে। তাছাড়া ডায়রিয়ার প্রবনতা বেড়েছে। অ্যাজমাজনিত রোগে আক্রান্ত বয়স্করা বেশি আসছেন হাসপাতালে। এছাড়াও জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছেন ডা. মৌমিতা বৈদ্য।

এদিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান জানান, ইতোমধ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৯ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভায় শীতার্ত মানুষের মাঝে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কম্বল বিতরন করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, ব্যাংক, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র বিতরন করেছে। শ্রীমঙ্গল পৌরসভাও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরন করেছে।