উৎসবমুখর পরিবেশে একেবারে তৃণমূল থেকে প্রায় ৬ শতাধিক শিশু-কিশোর আবৃত্তিকার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো শ্রীমঙ্গল আবৃত্তি উৎসব-১৪৩১।

ভাষার মাসে আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) শ্রীমঙ্গলের ঐতিহ্যবাহী ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে অনু্ষ্ঠিত হলো এই আবৃত্তি উৎসব। প্রথাগত প্রতিযোগিতা ও আনুষ্ঠানিকতার অনেকটাই ঝেড়ে ফেলে আয়োজকরা মনোনিবেশ করেছেন প্রতিভাবান আবৃত্তিশিল্পীকে খুঁজে বের করতে।

উৎসবের প্রধান সংগঠক, আবৃত্তিকার দেবাশীষ দাশ জানান, প্রায় একমাস যাবৎ শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৪৬ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবৃত্তি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মূল প্রতিযোগিতায় উঠে এসেছে আবৃত্তিশিল্পীদের আগামী প্রজন্ম। প্রতিযোগিতার মান নির্বাচনেও ছিল ভিন্নতা।

আবৃত্তি উৎসব উপলক্ষে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হয় ১৬টি ভেন্যুতে ৪৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬ শতাধিক প্রতিযোগীর মধ্যে প্রাথমিক বাছাই। বাছাই শেষে পরবর্তী ধাপে ২৭২ জন চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী নির্বাচন করা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলামের যে কোনো কবিতা থেকে আবৃত্তি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উৎসবের প্রতিযোগিতা শুরু হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে।

শ্রীমঙ্গল আবৃত্তি সংসদের আয়োজনে ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং প্রাঙ্গণ গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত আবৃত্তি উৎসবে অংশ নেন প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, সংস্কৃতিকর্মী, বিচারকমণ্ডলী, আমন্ত্রিত নারী-পুরুষসহ হাজারো মানুষ।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় আবৃত্তি উৎসবের উদ্বোধন করেন শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর এ বি এম মোখলেছুর রহমান। সকাল থেকে ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের তিনটি ভ্যানুতে চুড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনু্ষ্ঠিত হয়। বিকেলে চুড়ান্ত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৩৯ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসলাম উদ্দিন।