
পটুয়াখালীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ জন আহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় মোঃ সাইফুল বাদি হয়ে গত শনিবার ১ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী সদর থানায় ৮ জনের নামে ও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা করেছেন। মামলা নং ০১। এঘটনায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি মামলার জামিন চাইতে গেলে প্রধান ২ আসামী মোঃ জলিল হাওলাদার (৪৫), মোঃ মতিউর হাওলাদার (৪৫)কে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
মামলার বিবরন ও গুরুতর আহত মোঃ কাওসার আহমেদের সাথে কথা বলে জানাযায়, দির্ঘদিন আগে থেকেই জমি জমার ভোগ দখল ও বাড়ীর বিবিধ বিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে তাদের মামলা মোকদ্দমা চলামান। এমতাবস্থায় যে যতটুকু জমি ভোগ দখলে রয়েছে আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত বিবাদ না করে ততটুকু ভোগ করার নির্দেশনা দিয়েছে আদালত। সেই নির্দেশনা অনুযায়ি মাওলানা আব্দুস সালামের ছেলে কাওসার, সাইফুল গং তাদের বাড়ির পূর্ব পাশে তাদের ভোগ দখলীয় জমিতে কৃষিকাজ করে আসছিলো। কিন্ত গত ৩০ জানুয়ারি বিকেলে তারা জমিতে মুগ ডাল ফালানোর জন্য চাষাবাদ করতে থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষ মোঃ জলিল হাওলাদার (৪৫), মোঃ মতিউর হাওলাদার (৪৫), মোঃ আক্কাস হাওলাদার (৪০), মোঃ ইমরান (২৩), মোঃ গফুর হাওলাদার (৫০), মোঃ খলিল হাওলাদার (৩৫), মোঃ জাকির হাওলাদার (২৫), মোঃ সুমন (৩০), সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তাদের জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে চাষাবাদে বাধা প্রদান করে। উভয় পক্ষের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ তাদের উপর হামলা চালায়। এতে মোঃ কাওসার আহমেদ (২৫), মোঃ মাঈন উদ্দিন মাষ্টার (৫৫), ও মোঃ শাওন (২৫) আহত হয়। এসময় আসামীরা কাওসারের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন এবং সাইফুলের পকেট থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা এবং একটি এনড্রয়ড মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া সাইফুলের স্ত্রী মোসাঃ খাজিদা বেগমের (৩০) কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন চলে আসায় আসামীরা তাদের প্রান নাশের হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে আহতদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কাওসার ও মাঈন উদ্দিনকে ভর্তি এবং শাওনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ ঘটনায় সুবিচার দাবি সহ জমির মামলার সুরাহা চান ভুক্তভোগীরা। মামলার অন্যতম আসামী মোঃ মতিউর হাওলাদারের স্ত্রী রাশিদা বেগম মুঠোফোনে প্রতিবেদককে বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধ অনেক দিনের। ঘটনার দিন উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। তার স্বামী আদালতে জামিন আনতে গেলে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন বলেন, মামলা হওয়ার ১ দিন পর সকল আসামী জামিনের জন্য আদালতে হাজির হয়। প্রধান দুই আসামীকে জেল হাজতে পাঠিয়ে অন্যদের অস্থায়ী জামিন মঞ্জুর করে আদালত। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়া সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন