
পটুয়াখালীর গলাচিপায় রতনদী-তালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বালি মজুতের জন্য খনন কাজ চালানোর ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার সকালে এ ঘটনা প্রকাশ্যে এলে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা খনন কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে গলাচিপা-বন্যাতলী সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। কাজটি পেয়েছে চট্টগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স। বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছেন পটুয়াখালীর ঠিকাদার ফরাজ আহম্মদ।
রোববার সকালে স্কুলে এসে ছাত্র-ছাত্রীরা দেখতে পায় তাদের খেলার মাঠ খুঁড়ে বড় গর্ত তৈরি করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা খনন কাজে বাধা দেয়।
দশম শ্রেণির ছাত্র ওবায়দুল ইসলাম বলেন, “খেলার মাঠ আমাদের আনন্দের জায়গা। এখানে প্রতিদিন খেলাধুলা করি। আজ এসে দেখি মাঠ খুঁড়ে ফেলা হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করি ও কাজ বন্ধ করি।”
স্থানীয় অভিভাবক মাশারফ হাসান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এটি এলাকার একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়। এখানকার ছেলেমেয়েরা প্রতিদিন এই মাঠে খেলাধুলা করে। মাঠ নষ্ট করায় আমরা দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।”
কাজ তদারকিতে থাকা আলতাফ হাসান বলেন, “যন্ত্রচালকের ভুলে মাঠ খনন করা হয়েছে। আমরা দ্রুত মাঠ ভরাট করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।”
প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হাসান বলেন, “সকালে খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখি খেলার মাঠে বিশাল গর্ত। বিষয়টি ঠিকাদারকে জানালে তিনি মাঠ ভরাট করার আশ্বাস দিয়েছেন।”
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, “খেলার মাঠ কাটার ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবি—তাদের প্রিয় খেলার মাঠ দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হোক এবং এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে তা নিশ্চিত করা হোক।
মন্তব্য করুন