৩৩ বছরের পুরনো দৈনিক সংবাদপত্র ‘ভোরের কাগজ’ বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২০ জানুয়ারি)  পত্রিকাটির মালিক পক্ষ একটি নোটিশের মাধ্যমে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধের ঘোষণা দেয়।

এতে বলা হয়েছে, ‘ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১২ ধারা অনুযায়ী মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যা ২০-০১-২০২৫ ইং তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’

পত্রিকা বন্ধের খবর নিশ্চিত করে ভোরের কাগজের নির্বাহী সম্পাদক এ কে সরকার বলেন, ‘যা শুনেছেন তা ঠিক আছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলব।’

ভোরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদক খোন্দকার কাওসার বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় বৈষম্যের শিকার। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা সাংবাদিক-কর্মচারীরা দ্রুত কর্মসূচি ঘোষণা করব। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মালিকপক্ষ ৩০-৩৫ জন নিয়ে পত্রিকা চালাবে, বাকিদের ছাঁটাই করবে বলে তারা খবর পেয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘ভোরের কাগজ অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করছে- এমন ঘোষণা দিয়ে সরকার থেকে ৯০০ টাকা কলাম-ইঞ্চি বিজ্ঞাপনসহ সব সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে। ছাঁটাই করতে হলে ওয়েজ বোর্ডের বেতন স্কেলের সকল সুযোগ-সুবিধাসহ সমস্ত বকেয়া বেতনসহ সার্ভিস বেনিফিট দিতে হবে। অষ্টম ওয়েজ বোর্ডের আওতায় যার যত বছরের পাওনা রয়েছে, সমস্ত বকেয়া বেতন ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা পরিশোধ করতে হবে।’

জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই ভোরের কাগজে কিছু সংবাদকর্মী অষ্টম ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন দাবি এবং তাদের নিয়োগের তারিখ থেকে বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য আন্দোলন করছিলেন।

১৯৯২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘মুক্তচিন্তার দৈনিক’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলা এ দৈনিক।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৬ সেপ্টেম্বর পত্রিকাটির সম্পাদক শ্যামল দত্তকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত থেকে আটক করে পুলিশ। তখন থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। শ্যামল দত্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।