ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার আজ ৭৭ বছর। একটি পতাকা, একটি জাতীয় সংগীত, একটি মানচিত্র যাদের অর্জন।

১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারি ছাত্রলীগের জন্ম। এই ছাত্রলীগ ঐ বছরের নভেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় ভাবে ভাষা দিবস পালন করেন।
৬০ এর দশকে এই ছাত্রলীগ একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র ” বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র ” প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, দেশব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে গঠিত হয় স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস।

এই নিউক্লিয়াস এর সিদ্ধান্তে শিক্ষা আন্দোলন, ১১ দফার আন্দোলন, ৬৯ এর গনঅভ্যুত্থান,শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধি প্রদান, ৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন, ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার ঘোষণা, ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুকে এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম ঘোষণা দেয়া সহ কালজয়ী সকল স্লোগান ও স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের প্রধান ভুমিকায় ছিলো ছাত্রলীগ।

১৯৭২ সালের ২১ জুলাই ছাত্রলীগকে শেখ মুজিব এর লাঠিয়াল বনাতে তৎকালীন শাসকদল, ছাত্রলীগকে দুটি গ্রুপে রুপান্তর করে।

একটি মুজিব বাদী ছাত্রলীগ। অন্য অংশ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। মুজিববাদীদের স্লোগান ছিলো জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

আর ৪৮ সালে গঠিত হওয়া ছাত্রলীগের স্লোগান ছিলো আমাদের লক্ষ্য বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র। কালের বিবর্তনে সেই মুজিব বাদী ছাত্রলীগ হয়ে যায় তথাকথিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

আজ মুজিব বাদী ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হয়েছে তাদের অপকর্মের কারনে। তাদের সৃষ্টিও ছিলো অপকর্মের মধ্য দিয়ে।

আমি সেই ১৯৪৮ সালের ছাত্রলীগ, যা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী। সেই ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম। আর একনিষ্ঠ কর্মী ছিলাম বলেই, প্রাণের সংগঠ ছাত্রলীগের শুভ জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

এস.এম.সামছুল আলম নিক্সন।
সাবেক সভাপতি
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ(জেএসডি)
কেন্দ্রীয় সংসদ।

সংগৃহীত: ফেসবুক ওয়াল থেকে।