দেশকে এমনভাবে তছনছ করা হয়েছে যে সংস্কার শুধু অন্তর্বর্তী সরকার নয়, আগামী সরকারের জন্যও চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রায় দুই হাজার তরুণ অকাতরে জীবন দিয়েছে। আমরা সবাই তাদের এই দানকে স্বীকার করি। আমাদের তরুণ প্রজন্ম যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, তা বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। আসুন আমরা সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাই।’

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) খুলনা সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের ৫৬ বছরপূর্তি ও পুনর্মিলনী-২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এম সাখাওয়াত হোসেন এ কথা বলেন।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, যতদিন রয়েছি দেশ ও জনগণের জন্য কিছু করার চেষ্টা করবো। এখনও দেশে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি হচ্ছে। এ সময় সমাজের নেতৃস্থানীয়দেরকে চাঁদাবাজি প্রতিহত করার আহ্বান জানান তিনি।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজ আয়তনে ছোট হলেও এটি অনেক বড় বড় ব্যক্তির জন্ম দিয়েছে। খুলনার উন্নয়নে এই কলেজের অবদান অনেক। তবে অনেক পুরোনো কলেজ হিসেবে এর অবকাঠামোর যতটা উন্নতি হওয়া উচিত ছিল, ততটা হয়নি। কলেজটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন জানিয়ে কলেজের উন্নয়নে অনুষ্ঠানে উত্থাপিত তিনটি দাবির বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অবহিত করবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘একসময় খুলনা শহরে মোংলা পোর্টের অফিস ছিল। আমদানিকারক, শিপিং এজেন্টসহ সবার প্রয়োজনে আবার এই অফিস খুলনা শহরে ফিরিয়ে আনতে হবে। মোংলা পোর্ট খুলনার পোর্ট, তাই এটিকে বাঁচিয়ে রাখা ও আরও কার্যকর করার দায়িত্ব আপনাদের সকলের। এখানে কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ না হলে বন্দরটির পূর্ণ বিকাশ হবে না, এ ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ট্যারিফ কমিয়ে আমদানিকারকদের এ বন্দর ব্যবহারে আরও আগ্রহী করে তুলতে হবে।’