পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ দক্ষিন উপকূলে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে প্রচুর ঘন কুয়াশা। বেলা বাড়লেও দেখা মিলছে না সূর্যের। দুপুর পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলেছে যানবাহন। হাড় কাপানো তীব্র শীতে কাপছে কলাপাড়াসহ উপকূলবাসীর জনজীবন। চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। মাঝে-মধ্যে শীত আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে পুরো এলাকা। কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। শীতবস্ত্রের অভাবে নিম্নআয়ের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। প্রচন্ড কনকনে শীতে খেটে-খাওয়া দিনমজুর, গরিব, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ সময়মত কাজে যেতে পারছেন না। এদিকে প্রচন্ড শীতে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলায় সর্বনিম্ন ১৩.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে । এ অবস্থা আরোও ৩দিন চলবে বলে জানিয়েছে খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিস। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। চরম দুর্ভোগে রয়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। খড়কুটো জালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা চালাচ্ছে অনেক অসহায়-হত দরিদ্র মানুষজন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা।

গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলে বজলু মিয়া জানান, প্রচন্ড শীত ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে সাগরের মধ্যে ঠিক থাকা যায়না। অভাবের সংসারে দিন আনি দিন খাই, তাই আনেক কষ্টে আছি।

অটোভ্যান চালক জালাল উদ্দিন বলেন, ঠান্ডার কারণে হাত-পায়ের রগ জড়ো হয়ে যায়। হাত দিয়ে হ্যান্ডেলও ধরতে পারেননা। অটো চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। টানাটানির সংসারে বাধ্য হয়ে অটোভ্যান নিয়ে কাজের জন্য বের হয়েছি।

আরেক দিনমজুর বারেক হাওলাদার জানান, ঠান্ডার কারণে তারা কাজে যেতে পারছেননা। ফলে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। প্রচন্ড শীত ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে মাঠে কোনভাবেই দাড়ানো যাচ্ছেনা।