পটুয়াখালীর কুয়াকাটা অদুরে সমুদ্রের বুকে জেগে ওঠা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত লাল কাঁকড়া ও পরিযায়ী পাখির কোলাহলে মুখর হাইরের চরকে (যা বর্তমানে চর বিজয় নামে পরিচিত) পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এবার উপজেলা ভূমি প্রশাসনের উদ্যোগে রোপন করা হয়েছে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছের চারা। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এসব চারা রোপণ করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ, কলাপাড়া প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির আহ্বায়ক মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা।

স্থানীয় জেলেরা বলেন, ‘২০১৫ সালে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা এটিকে ‘চর বিজয়’ নামে আখ্যায়িত করে। তবে এটি জেলেদের কাছে অনেক আগ থেকেই হাইরের চর নামে পরিচিত। বর্ষার সময় এ চরটি পানিতে ডুবে থাকে। আর শীত মৌসুমে এখানে লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি ও অতিথি পাখির কোলাহল দেখতে পর্যটকরা বেড়াতে আসে। এছাড়া জেলেরা এখানে তাদের ছেঁড়া জাল বুনন ও মাছ শুকাতে আসে।

কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক কৌশিক আহমেদ বলেন, ‘কুয়াকাটা থেকে ১৫ কিলোমিটার গভীরে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা চর বিজয়ে প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকরা বেড়াতে আসেন। এ চরটির সৌন্দর্য্য বর্ধনে উপজেলা ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে আমরা আজ ম্যানগ্রোভ প্রজাতির ১০০টি কেয়া, ৩০০টি ঝাউ ও ৪০০ টি গোল গাছের চারা রোপণ করেছি।’

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কলাপাড়া পৌরসভার প্রশাসক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, কুয়াকাটাকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের উদ্যোগ অব্যাহত আছে। পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন সচেষ্ট। এছাড়া কুয়াকাটার মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করা হয়েছে। অচিরেই কুয়াকাটা হয়ে উঠবে বিশ্বের নান্দনিক ও আকর্ষণীয় একটি পর্যটন স্পট। তিনি আরো বলেন, সেন্ট মার্টিনের মত এই চরও ক্রমেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।