
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মাল্টিপারপাস হলরুমে থানা আমীর মাওলানা শহিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অধ্যাপক সাইফুল্লাহ এর সঞ্চালনায় বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জামায়াতের মজলিসে শুরার সদস্য ও বরিশাল জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল জব্বার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর আলহাজ্ব সাইফুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা, এ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন ইয়ামিন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মেহেন্দিগঞ্জ পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, সাবেক আমীর হাফেজ সফিকুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এর সভাপতি মাওলানা নুরে রাব্বি, জেলা শিবিরের অফিস সম্পাদক সাঈদ আহমেদ, পৌর জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী মাওলানা অলিউল্লাহ, দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়নের আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের আমীর মাষ্টার মোহাম্মদ আলী, চানপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুজ জাহের, আলিমাবাদ ইউনিয়নের সভাপতি মাষ্টার শাহাদাত হোসেন, জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা ফয়জুল্লাহ, চরএককরিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য হযরত আলী, মেহেন্দিগঞ্জ সদর ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ সেলিম সিকদার, উপজেলা শিবিরের সভাপতি মোঃ রিয়াজ উদ্দিন সহ নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, একটি মহৎ লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। অথচ বিজয়ের ৫৪ বছর পরেও বাংলাদেশের জনগণের বহুল প্রত্যাশিত সেই স্বপ্ন মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র আজও দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। স্বাধীনতা পরবর্তী মাত্র ৩ বছরের মাথায় দেশের জনগণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সব পথ রুদ্ধ করে দেয়া হয়। দেশের গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক মুক্তিই ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনা। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া দলটিই দেশকে বিপথে ঠেলে দেয়। তাই বিজয়ের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে সমুন্নত রাখতে এবং শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি মহান বিজয় দিবসের এই দিনে যারা নিজেদের জীবন দিয়ে প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন তাদেরকে গভীর ভাবে স্মরণ করেন এবং মহান আল্লাহ তায়া’লার কাছে সেই সকল বীর সেনানীদের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন।
আলহাজ্ব সাইফুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধনতার প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। বিভক্তির রাজনীতি ও দোষারোপ করার সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ভূমিকা রাখতে হবে।
এডভোকেট জহির উদ্দিন ইয়ামিন বলেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যারা দেশ পরিচালনা করেছেন তাদের দায়িত্ব ছিলো বিভেদের পরিবর্তে জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে নেয়া। কিন্তু তারা সে কাজ করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের একক দাবীদার আওয়ামীলীগ প্রকৃত অর্থে বাকশাল গঠন করে দেশকে আরও গভীর সংকট ও ষড়যন্ত্রে আবদ্ধ করে ফেলেছিল। তিনি মহান বিজয়কে অর্থবহ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা এবং দেশ গড়ার প্রয়োজনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা পালন করার আহবান জানান।
আলোচনা সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রূহের মাগফিরাত, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের হেফাজত এবং দেশের মানুষের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
মন্তব্য করুন