পৃথিবীর কোন স্বৈরশাসক টিকে থাকেনি, কেউ কারাগারে থেকে মৃত্যুর প্রতিক্ষা করে,কেউ জনগনের দ্রোহের মুখে প্রাণ হারায়,কেউ পালিয়ে যায়; এটা ইতিহাসের শিক্ষা। জনগনের ন্যায়সঙ্গত আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তাদের অধিকার হরণ করতে থাকলেই বিপদ! অনিবার্য্য পথেই চরম পরিনতি নেমে আসে।

হিটলার মুসোলিনি বিশ্ব মানবতার কুখ্যাত স্বৈরশাসক। ওরা নির্বাচিত প্রতিনিধি-ই ছিল। হিটলারের শরীরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি, মুসোলিনিকে গনপিটুনিতে হত্যা করে লাশটা গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল ম্যালাদিন। সাম্প্রতিক কালে বিশ্বের স্বৈরশাসকরা পালিয়ে যায়-যেমনটা পালিয়েছেন আমাদের শেখ হাসিনা।

নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্রক্ষমতা হস্থান্তর কিংবা গ্রহনের পথ রুদ্ধ করে দিয়ে জনগন এবং বিরুদ্ধ মতের প্রতি চরম নিষ্ঠুরতা চালিয়ে বছরের পর বছর আয়েসী মসনদ টিকিয়ে রাখা যায় না-এক সময় হার মানতে হয়। ক্ষমতার লোভ খুবই নিকৃষ্ট বিষয়। উঁচু দৃষ্টিভঙ্গির মানুষরা ক্ষমতার লোভ করেন না-নিম্ন দৃষ্টিভঙ্গির মানুষরা ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করতে পারেনা। এরা পালিয়ে গিয়েও অশান্তির বাতাস সরবরাহ করে।

প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে একটা সময় আসে; যখন সে জীবনের ফেলে আসা অতীতকে তালাশ করে-জীবনের ভুল ত্রুটি গুলো সন্ধান করে, যাচাই করে। নিরবে বসে আত্মজিজ্ঞাসার দরজা নিজের দিকে উন্মুক্ত করে দেয়। জগতের মানুষদের জন্য লিখে রাখে – একটি বই। রং হেডেড লোকরা সুস্থির চিন্তা করবে কেমনে? আফসোস।