দেশের এই কঠিন সময়ে জাতির ঐক্য প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশের এই কঠিন সময় জাতির ঐক্য প্রয়োজন। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হলে ঐক্য দরকার। যেকোনোভাবে আমাদের জাতির ঐক্য রক্ষা করতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে হবে। যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষা করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কখনো ফ্যাসিবাদ মেনে নেয় না। এরইমধ্যে ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করেছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী একটি দেশ যারা গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দিয়েছে। কোনো হত্যাকারীকে বাংলাদেশের রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এই দেশ (ভারত) বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রকে কোনোদিনও মানতে চায় না। তারা আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে ছাড়া অন্য কোনো দলকে মেনে নিতে চায় না। আমি ওই দেশকে স্পষ্টভাবে বলব বাঙালি জাতি কারো কাছে মাথা নত করার জাতি না। বাঙালি জাতি বিশ্বের অন্যতম বীরের জাতি। কেউ যদি মনে করে চাপ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে তাহলে তারা ভুল ভাবছে।

তিনি আরও বলেন, এই জাতির আগামীর ভবিষ্যৎ তারেক রহমান। এই কথাটি যদি পার্শ্ববর্তী দেশ মাথায় রাখে তাহলে মীমাংসা হবে তাড়াতাড়ি। তা না হলে যত খোঁচাখুঁচি করবে তত শত্রুতা বাড়বে। এটা ভারতের জন্যও ভালো না আমাদের দেশের জন্য ভালো না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে ছোটখাটো ঘটনা ঘটতে পারে। সেই ছোটখাটো ঘটনা দিয়ে ফ্যাসিবাদের দোসররা যদি মনে করে শেখ হাসিনাকে আবার এদেশে প্রতিষ্ঠিত করবে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। এ দেশের জনগণ কখনো ফ্যাসিবাদের সমর্থন করে না। এ দেশের জনগণ যাকে প্রত্যাখ্যান করে তাকে আর কখনও গ্রহণ করে না। এটা শেখ হাসিনা বুঝতে পারেনি।

তিনি বলেন, দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কষ্টে আছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আগের মতই আছে তেমনটা কমেনি। আমরা এই সরকারের কাছে প্রত্যাশা করি যত দ্রুত সম্ভব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা হোক।

তিনি আরও বলেন, দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেশ নাজুক। দেশে ফ্যাসিবাদের দোসররা বিভিন্ন কর্মসূচির নামে নানা বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে ভূমিকা রাখার কথা ছিল সেটা অনেকটাই দুর্বল। পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অনেকটা নিষ্ক্রিয়ভাবে আছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষেত্রে সরকারকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।