পর্যটন নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনে কুয়াকাটা সৈকতের তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চলমান। উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় দিনে বেরিবাঁধের বাইরে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কালে প্রশাসনকে হটিয়ে দিয়েছে স্থানীয় ভূমিহীন বিক্ষুব্ধ জনতারা।

বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে সমুদ্র সৈকতের টুরিজম পার্কে সংলগ্ন এ ঘটনা ঘটে।

এসময় স্থানীয় শতাধিক ভূমিহীন বাসিন্দারা ‘আগে পুনর্বাসন পরে উচ্ছেদ’ দাবি করে জড়ো হয়ে প্রশাসনের উপর লাঠি সোঠা নিয়ে তেরে আসলে প্রশাসন উচ্ছেদ বন্ধ করতে বাধ্য হন। উচ্ছেদ অভিযানে ব্যবহৃত বুলডোজারের গ্লাস পিটিয়ে ভেঙে ফেলা হয় এবং চালককে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে পুলিশ ও স্থানীয় বিএনপি’র নেতৃবৃন্দরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন।

জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্দেশে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন এ অভিযান পরিচালনা করেন। এর আগে আইনি নোটিশ ও মাইকিং করে অবৈধ স্থাপনার সরিয়ে নিয়ে অন্য জায়গায় স্থানান্তরের জন্য বারবার অনুরোধ করা হলে অনেকে সরিয়ে নেয়নি। গতকাল সৈকতের সৌন্দর্য ও শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রায় ৪’শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয় প্রশাসন।

সৈকতের জিরো পয়েন্টের পশ্চিম ও পুর্বপাশে এলোমেলো ভাবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা চৌকি, বস্তা পলিথিন দিয়ে খাবার হোটেল, ঝিনুক, বিভিন্ন দোকান এবং অস্থায়ী ব্যবসা পরিচালনা করছিল। পর্যটন নগরীর সৌন্দর্য বাড়ানোসহ পর্যটকরা যাতে সৈকত এলাকায় নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন এজন্য এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আউয়াল ফকির বলেন, আমাদের কয়েক শতাধিক পরিবারের মাথা গোঁজার মতো কোনো ঠাঁই নেই। বাধ্য হয়ে সরকারি জমিতে কোন মতে বসবাস করছি। এর আগে বাড়িঘর প্রশাসন ভেঙে দিয়েছে। কোথাও জমা জমি নেই বলেই আমরা এখানেই বসবাস করছি। আমাদের দাবি আগে ভূমিহীন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করে পরে উচ্ছেদ করতে হবে।

এ ব্যাপারে কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম জানান, কুয়াকাটা ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন দ্বিতীয় দিনের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে পরিকল্পিত ভাবে স্থানীয়রা সরকারি কাজে বাধা দেয়। লাঠি দিয়ে বুলডোজার পিটিয়ে গ্লাস ভেঙে ফেলে এবং চালককে মারধরের চেষ্টা করলে সে পুলিশের নিরাপত্তায় চলে আসে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।