সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করলেও কোনোভাবেই কমছে না দেশি পেঁয়াজের দাম।

সরবরাহ কমের অজুহাতে দুই সপ্তাহে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে ভালো মানের এক কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৫০ টাকা। অন্যদিকে, ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, অতিবৃষ্টিতে চাষাবাদ বিঘ্নিত হওয়ায় বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ আসতে দেরি হবে। অন্যদিকে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও আগের তুলনায় বেশি। এসব কারণে বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৬ থেকে ২৭ লাখ টন। এ চাহিদার ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশই পূরণ হয় স্থানীয় উৎপাদনের মাধ্যমে। বাকি চাহিদা আমদানি করে পূরণ করা হয়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্যে দেখা যায়, অক্টোবরের প্রথম ২৮ দিনে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৭৬ হাজার টন। গত বছর একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ১ লাখ ১৫ হাজার টন।

এ অবস্থায় বাজারে সরবরাহ বাড়ানো ও দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে পেঁয়াজ আমদানির ওপর আরোপ থাকা শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।

এদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। প্রায় প্রতিদিন আলুর দাম বাড়তে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিক্রেতা। তারা জানান, এখন পাইকারিতেই প্রতি কেজি আলু ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

মাংস ও সবজির বাজার

কেজিতে ৩০ টাকা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। খাসির মাংস আগের দামে বিক্রি হলেও সরবরাহ বাড়ায় গরুর মাংসের দাম কমেছে একই হারে। ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় বাজার শূন্য মাছটি। তবে, অন্যান্য মাছের সরবরাহ থাকায় কমেছে দামও।

শীতকালীন সবজির বাজারে আসায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে দামে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০০ টাকার মরিচের দাম নেমেছে ১০০-তে। এ ছাড়া প্রায় সব ধরনের সবজির দামও কমেছে।

ক্রেতারা বলছেন, আগের তুলনায় কিছু পণ্যের দাম কমেছে। এক পণ্যের দাম কমে তো অন্যটির বাড়ে। পেঁয়াজ ও আলুর দাম বাড়ছে। সরকার কঠোর পদক্ষেপ এবং সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের অস্বাভাবিক মুনাফা রোধে সরকারকে সার্বক্ষণিক সক্রিয় থাকতে হবে।