মেহেন্দিগঞ্জে এক অসহায় বিধবা নারীকে মারধর করে স্বামীর ভিটা বাড়ী থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ পাওয়া গেছে ভাসুর সালাউদ্দিন এর বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চানপুর ইউনিয়নের মোস্তফা কামাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাড়ি বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলার চানপুর ইউনিয়নের খন্তাখালী গ্রামের হালিমা বেগম (৩০) এর স্বামী গত ৬ বছর পূর্বে মারা যায়। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে ২ মেয়েকে নিয়ে স্বামীর বসত ভিটায় বসবাস করে আসছিল।

স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে হালিমার ভাসুর সালাউদ্দিন রাড়ি (৪০) এবং তার স্ত্রী মিলে হালিমাকে স্বামীর বসত ভিটা দখল ও উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে।

এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকালে বিধবা নারী হালিমা নিজ ঘরের সামনে পেয়ারা চারা রোপন করতে গেলে বেপোরোয়া ভাসুর সালাউদ্দিন ও তার স্ত্রী আয়শা বেগম লোহার রড ও গাবের লাঠি দিয়ে এলোপাথারী পিটিয়ে ও কামড় দিয়ে জখম করে । হালিমার চিৎকারে ২য় শ্রেণি পড়ুয়া লামিয়া (৮)মাকে বাঁচাতে এলে তাকেও পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে পাষন্ড চাচা সালাউদ্দিন ও তার স্ত্রী । পরে স্থানীয়রা মা-মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। আহত হালিমার শরীরের বিভিন্ন যায়গায় কামড়ের কারনে ব্যাথার যন্ত্রণায় হাসপাতালের বিছানায় ছটফট করছেন।

এই ঘটনায় মেহেন্দিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান আহতের পরিবার।

এলাকার একাধিক ব্যাক্তি সংবাদকর্মীদের জানান, সালাউদ্দীন রাড়ি ও তার স্ত্রী এলাকায় বেপোরোয়া হয়ে উঠছে তারা কারো কথা বার্তা মানেন না। ভুক্তভোগী নারী ২ মেয়ে নিয়ে কোন রকম জীবন যাপন করে আসছে। আপন ছোট ভাইর স্ত্রী ও ভাতিজির সাথে অমানবিক জুলুম করে আসছে সালাউদ্দীন। প্রতিবেশিরা আপোষ মীমাংসা করে দিলেও কোন কিছু মানে না। কোন কিছু বলতে গেলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।এমনকি আপন বড় ভাইয়ের সাথে মিল নেই তার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন রাড়ি বলেন আমাদেরকে মারধর করতে আসছে হালিমা।

তবে তার স্ত্রীর সাথে মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন আমি তখন ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম।

মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, এই ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।