পটুয়াখালীতে হত্যার চেষ্টায় রক্তাক্ত  জখম ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী দুধর্ষ সন্ত্রাসী জহিরুল চৌকিদার (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পটুয়াখালী সদর থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানাগেছে, গত ২২ অক্টোবর আনুমানিক দুপুর ২ টার দিকে সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত কাঞ্চন চৌকিদারের পুত্র মো. সালাম চৌকিদার (৬৫) ইউনিয়নের অফিসের হাট বাজারের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে ছোট আউলিয়াপুর বাড়ির সামনে রাস্তার উপর পৌছলে সেখানে পূর্ব বিরোধের জের ধরে   ওঁতপেতে থাকা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী জহিরুল চৌকিদার (৩৫) ও তার ভাই ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক  ফারুক চৌকিদার (৫৪) সহ ৭/৮ জন দুর্বৃত্ত ধাড়ালো অস্ত্র রাম দা, চাপাতি, লোহার রডসহ লাঠিসোটা নিয়ে সালাম চৌকিদারকে পথরোধ করে মারধর করে করে। এ সময় তার ডাকচিৎকার শুনে ছেলে কাওসার আহমেদ সোহেল(৩৫) ও মহিউদ্দিন ওরূপে রানা চৌকিদার এবং তাসিন চৌকিদার পিতাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসী জহিরুল চৌকিদার  ও তার ভাই ফারুক  চৌকিদার সহ ৭/৮ জন দুর্বৃত্ত তাদেরকেও ধাড়ালো অস্ত্রসহ লাঠিসোটা নিয়ে হামালা চালিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বীর দর্পে চলে যায়। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় কাওসার আহমেদ সোহেল  ও মহিউদ্দিন ওরফে রানা  চৌকিদারকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে গুরুতর জখমী মহিউদ্দিন ওরফে রানা চৌকিদারের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।  সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত রানা চৌকিদারের বড়ভাই কাওসার আহমেদ সোহেল বাদী হয়ে ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায়  পটুয়াখালী সদর থানায় জহিরুল চৌকিদারকে প্রধান আসামীকরে ৫ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। এ মামলার  অন্য আসামীরা হচ্ছে ফারুক চৌকিদার(৫৪), মোজাম্মেল হক মুজু(৪৫), খবির চৌকিদার(৩৮) ও নুহ চৌকিদার (৫৮)।
এ মামলার প্রধান আসামী জহিরুল চৌকিদারকে  বৃহষ্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে  বলে মামলার তদন্ত অফিসার এসআই রাসেল নিশ্চিত করেছেন।