ইউপি চেয়ারম্যান পদে ভোট গণনা করে তাকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ফলাফলে সন্তুষ্ট হতে না পেরে পটুয়াখালী নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা ঠুকে দিয়েছিলেন তিনি। তিন বছর পর ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিনিয়র সহকারি জজ রাসেল মজুমদার প্রায় ৯০০ ভোটের ব্যবধানে মনিরুজ্জামান টিটুকে জয়ী ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন।

২২ অক্টোবর এ রায় ঘোষণা করা হয়। তবে ঘটনাটি আজ বুধবার জানাজানি হয়। ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মিনরুজ্জামান টিটু আনারস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোট গ্রহণ শেষে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাসুম মৃধাকে বিজয়ী ঘোষণা দেন। এ নিয়ে প্রতিপক্ষ মনিরুজ্জামান টিটু আপত্তি তোলেন এবং নির্বাচনী ট্রাব্যুনালে মামলা করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোঃ রুহুল আমিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আদালতের পুনর্গণনায় আনারস প্রতীকের মনিরুজ্জামান টিটু ২ হাজার ৭৯৪ ভোট এবং নৌকা প্রতীকের মাসুম মৃধা ১ হাজার ৮৭৬ ভোট পেয়েছেন।

আদালতের রায়ে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান টিটু বলেন, ২০২১ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে পরাজিত দেখানো হয়েছিল। তিনি দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতের রায়কে আমলে নিয়ে নতুন গেজেটে ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।

বর্তমান ইউপি সদস্য মাসুম মৃধা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব। ২০২১ সালের নির্বাচনে ভোট গণনার সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ভোট গণনা করে আমাকে জয়ী ঘোষণা করেছিলেন। আমি প্রায় তিন বছর ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।’