
পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামানসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৫৪ কিলোমিটার দক্ষিন-দক্ষিনপূর্বে এটি অবস্থান করছিলো। নিম্নচাপটি ঘূর্নিঝড়ে ডানা’য় রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় গুমট পরিবেশ বিরাজ করছে। থেমে থেমে গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে এবং আকাশ মেঘলাচ্ছন্ন রয়েছে। ভ্যাপসা গরমে দিশেহারা হয়ে পড়েছে উপকূলের মানুষ।
এদিকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর সময়ের সাথে সাথে উত্তাল হয়ে উঠছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে পানির উচ্চতা। আতঙ্ক বাড়ছে ঘূর্ণিঝড়ের। তাই উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শংকায় পায়রা সহ দেশের সব সমুদ্র বন্দরে ০২ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সমুদ্রে সকল প্রকার মাছধরা ট্রলার ও নৌযান সমূহকে নিরাপদে অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস আড়ৎ মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম বলেন, নদ-নদী ও সাগরে ১১অক্টোবর থেকে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। বর্তমানে তা বলবৎ আছে। তাই উপকূলের সকল ট্রলারই মহিপুর শিববাড়িয়া নদীতে অবস্থান করে নিষেধাজ্ঞা পালন করছেন।
কলাপাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইলেকট্রনিক প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এন্ড পিবিও আব্দুল জব্বার শরীফ জানান, সকাল থেকে গুমট পরিবেশ এবং থেমে থেমে গুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সাগর নদীর পানি আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। এ অবস্থায় উপকূলীয় বাসিন্দাদের আগাম প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে হবে। যাতে ঘূর্ণিঝড়ের হওয়ার সম্ভাবনা হলে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করতে পারেন।
মন্তব্য করুন