পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এবারে এইচ,এস,সি, পরীক্ষার ফলাফলে এম,পিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এবারো মহিপুর মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ পাশের হারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। এ কলেজ থেকে তিন বিভাগে মোট ৯৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৯০ জন উত্তীর্ন হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসায় শিক্ষা এবং মানবিক শাখা থেকে একজন করে দুজন শিক্ষার্থী জি.পি.এ-৫ পেয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের পাশের হার শতকরা ৯৬.৭৭।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, জি.পি.এ-৫ এর দিক থেকে এগিয়ে কলাপাড়ায় মহিলা কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ২১৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে উত্তীর্ন হয়েছে ১৯৬ জন। এ প্রতিষ্ঠান থেকে জি.পি.এ-৫ পেয়েছে ২৬ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১৮ জন, মানবিক ৫ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৩ জন। এ কলেজের পাশের হার শতকরা ৯২.১৩।

শনিবার সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রী কলেজ থেকে তিনটি বিভাগে মোট ২৯৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৭৭ জন। এ কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে ৭ জন শিক্ষার্থী জি.পি.এ-৫ পেয়েছে। এ কলেজের পাশের হার শতকরা ৯২.৬৪।

সরকারী মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ থেকে তিনটি বিভাগে মোট ৩২৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে উত্তীর্ন হয়েছে ২৮৬ জন। এ কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে ২ জন, মানবিকে ৩ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ১ জন শিক্ষার্থী জি.পি.এ-৫ পেয়েছে। এ কলেজে পাশের হার ৮৭.৭৩।

আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন কলেজ থেকে মোট ১৮৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে উত্তীর্ন হয়েছে ১৫৮ জন। এদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩ জন এবং মানবিক বিভাগ থেকে ১ জন শিক্ষার্থী জি.পি.এ -৫ পেয়েছে। এ কলেজের পাশের হার ৮৪.৪।

ধানখালী ডিগ্রী কলেজ থেকে মোট ১০৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে উত্তীর্ন হয়েছে ৯১ জন। এ কলেজ থেকে কোন শিক্ষার্থী জি.পি.এ-৫ পায়নি। এ কলেজের পাশের হার শতকরা ৮৪.২৬।

এদিকে, নন এম.পি.ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডালবুগঞ্জ স্কুল এ্যান্ড কলেজ থেকে তিনটি বিভাগে মোট ২৩ জন শিক্ষার্থী এবারের পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ২৩ জনই উত্তীর্ন হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে কোন শিক্ষার্থী জি.পি.ও-৫ না পেলেও এ প্রতিষ্ঠানে পাশের হার শত ভাগ বলে জানা গেছে।