নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কেন্দ্রীয় সংস্কার পরিষদের এক দফা দাবি (নার্সিং ও মিডওয়াইফারি  অধিদপ্তর এবং  বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল হতে সকল  ক্যাডারদের প্রত্যাহার পূর্বক যোগ্য ও অভিজ্ঞ নার্স)  আদায়ে কেন্দ্রীয় ঘোষিত  সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত  নার্স ও মিডওয়াইফারদের  কর্মবিরতি অব্যাহত। ফলে বিপাকে পরেছে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত পাঁচ শতাধিক রোগীসহ চিকিৎসার জন্য আসা রোগীরা।

বুধবার (০৯ অক্টোবর) সকালে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সরা হাজির খাতায় স্বাক্ষর করে পটুয়াখালী হাসপাতালের সভাকক্ষে  নার্সরা সমবেত হয়ে তাদের কর্মবিরতি পালন করতে দেখা গেছে। এ সময় উক্ত দাবীতে বক্তব্য রাখেন  হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার নার্সিং ও মিডওয়াইফারী সংস্কার পরিষদের প্রধান আহবায়ক আয়শা বেগম, সদস্য হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক হোসনে আরা বেগম, সদস্য সিনিয়র স্টাফ নার্স জেসমিন আক্তার, ফাতিমা শরীফ, সুলতানা পারভীন শিরিন, আয়শা মার্যান,  কাওসার মাহমুদ প্রমুখ নার্স।

বক্তারা অবিলম্ভে  নার্সিং ও মিডওয়াইফারি  অধিদপ্তর এবং  বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল হতে সকল  ক্যাডারদের প্রত্যাহার পূর্বক যোগ্য ও অভিজ্ঞ নার্সদের পদায়ন করে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি পেশায় বিদ্যমান বৈষম্য দূরীকরন, নার্সিং প্রশাসনিক গতিশীলতা আনয়ন ও সেবার মানোন্নয়নের  জোর দাবি জানান। এ দাবি পূরন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুশিয়ারি করেন নার্সরা।

এদিকে নার্সদের কর্মবিরতির কারনে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসারত রোগীরা চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। রোগীর স্বজনরা রোগীনিয়ে পরেছেন বিপাকে। রোগীসহ স্বজনরা জানান, ডাক্তাররা দেখে যান, কিন্ত স্যালাইন,  ইনজেকশন, ক্যানোলা পড়ানো এবং কোন সময় কোন ঔষধ খাওয়াতে হবে এ বিষয় নার্সদের সেবা ও সহযোগীতা  না পেয়ে রোগী নিয়ে পরেছেন বিপাকে।

আন্দোলনরত নার্সিং ও মিডওয়াইফারী সংস্কার পরিষদের প্রধান আহবায়ক আয়শা বেগম জানান, আমাদের আন্দোলনের পাশাপাশি মানবিক বিবেচনায় ইর্মাজেন্সিতে ও মুমূর্ষু রোগীদের সেবার জন্য নার্সরা কাজ করছেন।