বরিশালের গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বদিউজ্জামান মিন্টুর কাছে চাঁদা দাবী, তাকে লক্ষকরে গুলি ও বোমা বিস্ফোরন এবং মারধর করে মোবাইল ও নগদ অর্থ সিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে গৌরনদী উপজেলা আ’লীগের ২৪ নেতা কর্মির নামে ৫অক্টবর শনিবার গৌরনদী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন বিএনপির নেতা বদিউজ্জামান মিন্টু।

গৌরনদী মডেল থানা মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির চেয়ার পার্শন ও সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় সরকারী গৌরনদী কলেজ মসজিদে ২০২১ সালের ২৭ নভেম্বর বাদ আছর দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠানে হামলা করে অনুষ্ঠানকে পন্ড করে এবং ওই দিন সন্ধ্যায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বদউজ্জামান মিন্টুকে লক্ষ করে উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক হারিছুর রহমান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি জয়নাল হাওলাদারের নেতৃত্বে, ৩০ থেকে ৪০টি মোটর সাইকেল নিয়ে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে এসে, সরকারী গৌরনদী কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি সুমন মোল্লা গুলি ও বোমা বিস্ফোরন ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছরিয়ে সুমন মোল্লা নিজ হাতে গুলি করলে গুলি লক্ষভ্রষ্ট হয়ে যায়। তখন সাগর মোল্লা ও রায়হান মিয়া বদিউজ্জামানকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলাপাথারি পিটিয়ে কুপিয়ে চলে যায়।

আসামিরা হলেন, উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক হারিছুর রহমান ও সভাপতি জয়নাল হাওলাদার, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক গোলাম হাফিজ মৃধা, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ফরহাদ হোসেন মুন্সি, পৌর স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি স্বপন হাওলাদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রেঝাউল করিম টিটু, কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি সুমন মোল্লা, পৌর কাউন্সিলর সুজন হাওলাদার, পৌর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক প্রিন্স রোনাল্ড বেপারী, কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রাতুল শরীফ, আ’লীগ নেতা নয়ন শরীফ, (কালা) আলআমিন, নুরুল হক মাওলানা, সালাম হাওলাদার, সৈয়দ দিদার, রাসেল ফকির, সাকিল ওরফে মোটা সাকিল, জসিম শরীফ, সুমন সরদার, কালু ওরফে হাতকাটা কালু, রায়হান মিয়া, রাসেল রাড়ী, মামুন মিয়া, সাগর মোল্লা।

মামলার বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইউনুচ মিয়া জানান, মামলা এজাহারের পর থেকেই আসামিদের গ্রেফতারের জোর প্রচেস্টা চলছে, খুব শিগ্রই আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।