
বরিশালে কেবল সাংবাদিকতায়ই সফলতা অর্জন করেননি কাজী আল মামুন. তিনি মদ জুয়া ও নারী ব্যবসায়ও ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন। চলেন গাড়ীতে. করেছেন বিলাশ বহুল বাড়ি। ঝালকাঠি থেকে শুন্য হাতে বরিশালে এসে একটি পত্রিকা মালিকের আত্মীয় পরিচয়ে নতুন জীবন শুরু করেন তিনি। সাংবাদিকতার সাথে জড়িয়ে পিতার নামে পরিচিতি লাভ না করে হালা মামুন নামে প্রতিস্ঠিত হন। শ্যালক োঠায় বরিশাল প্রেসক্লাবে সদস্য পদ লাভ করেন। একাধিক বার দুলাভাই কোঠায় প্যানেলে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। বর্তমানে একই কোঠায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
সব সময় ক্ষমতার লেজুরবৃত্তি ও তেল দেয়ার অসীম যোগ্যতা থাকায় এগিয়েছেন বহুদুর। সাংবাদিকতার অন্তরালে তার মুল ব্যবসা ছিলো জুয়া মদ ও নারী। বরিশাল ক্লাবের সদস্য পদে পেয়ে যান নেতাদের মন জয় করে। বরিশালে ওপেন পারমিশনের জুয়ায় তিনি ছিলে অফিসার ক্যাশ ইনচার্জ। তখন প্রতিরাতে গড়ে ২/৩ লাখ টাকা আয় করে ধনকুবের বলে যান। গাড়ী বাড়ি সব হয় যায় অকপটে। প্রথম সকাল নাম একটি আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকার মালিক হন।
বর্তমানে ঐ পত্রিকা সপ্তাহে. মাসে বা বছর দু চার দিনের বাজারে আসলেও বাকি দিনগুলো বাজারে দেখা যায়না। কিন্তু প্রেসক্লাবের পাশে জুয়ার পাটনার সোহেলের ভবনে বাহারি জুসের অফিস রয়েছে। আর সেখানেই চলে জুয়া মদ আর নারী বিনোদন। প্রতিদিন রাতে কাজী মামুনের মধুকুঞ্জে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ভিআইপি জুয়ারী ও নারী বিনোদন কারীরা যান প্রথম সকাল অফিসে। একাধিক বার স্থানীয় বাসিন্ধারা প্রতিবাদ করলেও ক্ষমতা ও টাকার দাপটে অনঢ় অদম্য কাজী মামুন।
গত মাসে মাঝামাঝি সময়ে স্থানীয় বাসিন্দারা মদ জুয়ার আসরে বাধা দেয়। গভীর রাত পর্যন্ত অবরুদ্ধ থাকে কয়েকজন জুয়ারী ও মদুদী। পরে স্থানীয় বিএনপি নেতা ও সাংবাদিকরা গিয়ে অবরুদ্ধ লোকদের বের করে দিয়ে সতর্ক করে দেন। আবাসিক এলাকা এবং সরকারী মহিলা কলেজের ২০ গজ সামনে এমন অনৈতিক কর্মকান্ড মেনে নিতে পারছেনা এলাকাবাসী।
মন্তব্য করুন