এ বছর পটুয়াখালী জেলার ৮ টি উপজেলায় ১৭৬ টি মন্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে। নির্বিঘ্নে, উৎসবমুখর ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্যদিয়ে দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে পুলিশ বাহিনীসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারি র‍্যাব ও আনসার বাহিনী তৎপর। গত বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে পটুয়াখালী জেলা শহরের বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন বরিশালের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ আব্দুস সালাম (রিমন)সহ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।

বুধবার রাতে পটুয়াখালীর জেলার নতুনবাজার শ্রী শ্রী মদন মোহন জিউর আখড়া বাড়ি পূজামন্ডপ পরিদর্শন করে অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আব্দুস সালাম রিমন বলেছেন নির্বিঘ্নে ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেই শারদীয় দুর্গোৎসব পালনে পুলিশ বাহিনী কাজ করছে। তাদেরকে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করার জন্য হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীস্টসহ সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।

নতুনবাজার শ্রী শ্রী মদন মোহন জিউর আখড়া বাড়ি মন্দির কমিটির সভাপতি উৎপল কুমার দত্ত (পিংকু) সভাপতিত্বে ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. সঞ্জয় কুমার খাসকেলের সঞ্চালনায় অতিরিক্ত ডিআইজি’র পরিদর্শন উপলক্ষে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালীর নবাগত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) সাজেদুল ইসলাম সজল, সদর থানার অফিসার্স ইন চার্জ মো. জসিম উদ্দিন।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্দিরের পুরোহিত সুনিল গাঙ্গুলি মন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদক শুভ্রত দাস কালু, সহ- সভাপতি মন্টু মজুমদার, কোষাধ্যক্ষ লিটন কর্মকার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অপূর্ব সরকার, নতুন বাজার দুর্গা পূজা উদযাপন পরিষদ -২০২৪ এর সাধারন সম্পাদক রথিন পাল, সহ- সভাপতি চিন্ময় কর্মকার, সাবেক সাধারন সম্পাদক মৃনাল কর্মকার। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিল অনুপ দাস, কিশোর কুমার শীল, সুব্র হালদার জয়, চিন্ময় কর্মকার, রিদয় শীল , অনু, বিলশ দাশ, সজল, দিপ, তুষার, শুভ সহ মন্দির কমিটি ও দুর্গা পূজা উদযাপন পরিষদের অন্যান্য সদস্যগন।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. সঞ্জয় কুমার খাসকেলের তথ্যমতে পূজা উদযাপনে প্রস্তুত ১৭৬ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।এর মধ্যে পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ২৬ টি,বাউফল উপজেলায় ৬৫ টি, দশমিনা উপজেলায় ১৩টি,দুমকি উপজেলায় ১০টি,গলাচিপা উপজেলায় ২৮টি,কলাপাড়া উপজেলায় ১৪টি, মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ১৫টি এবং রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৫ টি। ইতোমধ্যে এ সব পূজামন্ডপ গুলোতে প্রতিমা তৈরীর কাজ সম্পন্ন হয়েছে এখন রং তুলির কাজ চলছে।