কবি নজরুল সরকারি কলেজের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে কলেজের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। আটক ব্যক্তির নাম সরকার রাহাত। তিনি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে কলেজের সমন্বয়করা তাকে আটক করে। জানা যায়, তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদারের সঙ্গে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।

পুলিশের হাতে সোপর্দ করার আগে রাহাত সরকার মুচলেকা দেন। মুচলেকায় উল্লেখ করেন, আমি সরকার রাহাত। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের কবি নজরুল সরকারি কলেজের একজন নিয়মিত ছাত্র। আমি শুরু থেকে বাংলাদেশের ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। আমি কলেজ চলাকালীন ছাত্রলীগের সকল প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতাম। তখন আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর সম্মিলিতভাবে হামলা করতাম। আমার হামলায় অনেকে আহত হয়েছে।

এছাড়াও মুচলেকায় উল্লেখ ছিল, আমি আমার ভুল বুঝতে পেরে কবি নজরুল সরকারি কলেজের সকল শিক্ষার্থীদের কাছে আমার বিগত দিনের সকল কুকর্মের জন্য সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ সকলের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। যদি আমার দ্বারা ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কবি নজরুল শাখা দ্বারা কোনও শিক্ষার্থীর কোনরকম ক্ষতিসাধন হয় তার দায়-ভার আমি মাথা পেতে নেবো।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাক্ষী হিসেবে মুচলেকায় স্বাক্ষর করেন সাইদুল ইসলাম, রুহুল আমিন ও শিমুল মাহমুদ।

কবি নজরুল কলেজের সমন্বয়ক জাকারিয়া বলেন, রাহাত সক্রিয় ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। নানা সময়ে সে প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করতো। গত জুলাই মাসের সহিংসতায় সে ছাত্রলীগের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। এজন্য আজ তাকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেবো।

পরে শিক্ষার্থীরা মুচলেকা নিয়ে সরকার রাহাতকে সূত্রাপুর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।