সম্প্রতি প্রকাশিত এডি র‍্যাংকিএ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম ১০ম (বাংলাদেশের মধ্যে) স্থান অর্জন করেছেন। বিশ্বের ২% বিজ্ঞানীদের মধ্যে তিনি অন্যতম একজন যার ১২৫০০এর বেশি সাইটেশন। বিশ্ববিদ্যালয়টির সয়েল সায়েন্স বিভাগের এই অধ্যাপক পরিবেশ দূষণ সহ নানান গুরুত্বপূর্ন বিষয় গবেষণা করে যাচ্ছে নিরলস। ২২০ টির বেশি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নালে।

এছাড়াও তিনি নানান গবেষণা সম্মাননায় বাংলাদেশের সুনাম বিশ্ব মানচিত্রে তুলে ধরেছেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক ও প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে ২০০৭ সালে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ২০১০ সালে তিনি জাপান সরকারের শিক্ষাবৃত্তিপ্রাপ্ত হয়ে জাপান গমন এবং ইয়োকহোমা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। গ্রামীণ ব্যাংকের শিক্ষা ঋণ নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করা অধ্যাপক সাইফুল এখন শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন।

সমসাময়িক বাস্তবতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগে এমন অধ্যাপককে গুরুত্ব দেয়া জরুরি হলেও নানান জটিলতায় সেটি দেখা যাচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক বলেন, দেশের ইনটেলেকচুয়াল’ সম্পদের যোগ্য ব্যবহার নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবী , ড. সাইফুল ইসলাম একজন স্বকৃীত ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিজ্ঞানী। দেশের ক্রান্তিলগ্নে এমন বিজ্ঞানীদের জোর করে দায়িত্ব দেয়া জরুরী, না হলে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে প্রত্যাশা করেন!

এমএস পর্যায়ের শিক্ষার্থী অন্তু বলেন, “লেজুড়বৃত্তি করা মানুষের চেয়ে ড. সাইফুল ইসলাম অনেক বেশি গবেষণা বান্ধব শিক্ষক। উনি যেকোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বিশ্বে এক নামে পরিচয় করিয়ে দিতে যথেষ্ট বলে আমি বিশ্বাস করি।”

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. সাইফুল বলেন, দেশের প্রয়োজনে আমাকে দায়িত্ব দিলে পালন করতে প্রস্তুত। আমি গবেষণা বান্ধব ও শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তোলার মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করব।”

দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে অনেকেই ভিসি হতে মরিয়া সেখানে কেন সরকার যোগ্য মানুষ খুঁজে পায় না তা সংশ্লিষ্ট অনেকেরই প্রশ্ন। শিক্ষা ও গবেষণার স্থানে দলীয় রাজনীতির বিষয়টি বিবেচনা বর্তমানে প্রাসঙ্গিক নয় বরং যোগ্য থেকে যোগ্যতম লোকদের খোঁজা উচিত বলে অশিংজনদের মতামত।