পটুয়াখালীতে ব্যবসায়ীর বসতঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় যুবদল নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অভিযুক্তরা। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সাইফুল ইসলাম মৃধা।

এসময় তিনি বলেন, প্রতিবেশী ফিরোজ আশরাফের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছে। যা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আমার বাবা সেকান্দার আলী মৃধা এই জমিজমা বিষয় নিয়ে ফিরোজ আশরাফের পিতা আব্দুল খালেক মৃধাদের বিরুদ্ধে দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করেন। যার মোকদ্দমা নং ১৮৩/২০১৩। যাহার রায় ২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর আমার বাবা পান। পরে বিবাদী খালেক মৃধা আমাদের পাওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। পরে আদালতের রায় মোতাবেক জমিতে দখল দিতে গেলে ফিরোজ আশরাফ ও তার পরিবারের লোকজন ছাত্রলীগ/যুবলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে আমাদের উপর অন্যায় ভাবে নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখায়।

এদিকে গত ৫ আগষ্ট ফিরোজ আশরাফের বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যে হামলার কথা বলা হয়েছে তাতে যুবদল নেতা রিমানুল ইসলাম রিমু ও রুহুল আমিন আকরাম জড়িত নয়। মূলত তাদের জমি জবরদখল করে স্থাপনা নির্মান করার জবাব চাইতে ফিরোজের বাসায় গেলে তাদের ধাওয়া করে ফিরোজের লোকজন পরে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা পাল্টা ধাওয়া দেন তবে কোন ধরনের ভাংচুর বা লুটপাটের সাথে তারা জড়িত নয়। মামলাতেও তাদের নাম নেই। সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যেই তাদের নাম বলা হয়েছে বলে জানান তারা।