
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সুমী আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে লালুয়া ইউনিয়নের হাসনাপাড়া আবাসনের শ্বশুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনার পর পরই স্বামী ইব্রাহিম (২৫) ও দেবর সাইদুল (২০) প্যাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এঘটনায় ওই গৃহবধুর বড় ভাই পলাশ হাওলাদার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে ৩ জনের নামে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী ইব্রাহিমের সঙ্গে গৃহবধু সুমী আক্তারের পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ইব্রাহিম ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে মারধর করে এবং মানষিক নির্যাতন করে। পরে সুমি তার স্বামীর ঘরের পাশের কক্ষে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দেয়। তাৎক্ষনিক স্থানীয়রা ওই গৃহবধুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। এর আগেও সুমীকে ইব্রাহিম বেশ কয়েকবার মারধর করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার দুপুরের দিকে পটুয়াখালী মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন