
হাকিমপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে ৬ বছর ধরে একাই স্থানে কর্মরত রয়েছেন ৬ জন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও পিয়নসহ দীর্ঘদিন চাকরির সুবাধে ডালপালা মেলেছেন তারা! কোন সরকারি কর্মকর্তা একই কর্মস্থলে তিন বছরের অধিক সময় থাকতে পারবেন না।
সরকারের এমন নীতিমালা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না হাকিমপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর কর্যালয়ে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, হাকিমপুর (ভূমি) কর্মকর্তা হিসেবে সোলায়মান ২০১৮ সালে কাম ক্যাশিয়ার পদে কার্যালয়ে যোগদান করেন। ৬ বছর ধরে এই উপজেলায় কর্মরত রয়েছেন।
মোসাদ্দেক হোসেন ২০১৮ সালে যোগদান করে ৬ বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন। মোফাজ্জল হোসেন, সেকেন্দার আলী,শহিদুল ইসলাম, হাকিমপুর ভূমি অফিসের জারি কারক হিসাবে ২০১৮ সাল থেকে কর্মরত রয়েছে।
হাকিমপুর উপজেলা ভূমি ওই সকল কর্মকর্তাদের সকল প্রকার নিয়ম-বিধি ভঙ্গ করে নিজস্ব নিয়মে ইচ্ছামাফিক দাফতরিক কার্যক্রম পরিচালিত করছেন। এতে করে বান্তবায়ন হচ্ছে না সরকারের লক্ষ্যমাত্রা। এ সুযোগে অনেকেই আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছেন।
হাকিমপুর উপজেলা ভূমি অফিসরে নাজির কাম -ক্যাশিয়ার কর্মকর্তা মোঃ সোলায়মান আলী,নিজে ও অনেক কর্মকতারা একই স্থানে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, একই স্থানে দীর্ঘদিন চাকরির সুবাধে কিছু অধিপত্য তৈরী হওয়াটাই স্বাভাবিক! তবে তিনি দাবি করে বলেন কর্তৃপক্ষ রাখলে আমাদের কিছু করার নেই। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে চাই হাকিমপুর ভূমি অফিস থেকে চলে যেতে, এখানে আমার অনেক বছর হয়ে গেছে।
তবে ওই সকল কর্মকর্তাদের দাবি কর্তৃপক্ষ রাখলে আমাদের কিছু করার নেই। হাকিমপুর উপজেলার চন্ডিপুর এলাকার মোসাদ্দেক হোসেন শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, কাগজ পত্র সঠিক থাকার পরেও মোটা অংকের টাকা দাবি করেন উপজেলা ভূমি নাজির ক্যাম ক্যাশিয়ার সোলায়মান আলী,এই জন্য আমি আর খারিজ করি নাই।
এ বিয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় বলেন,নীতিমালা অনুযায়ী একই স্টেশনে ৩ বছরের অধিক থাকার নিয়ম নেই। এর পরও ভূমি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বদলির বিষয়টি জেলা প্রশাসকে হাতে। এ বিষয়ে যে কোন সিদ্ধানত ওনার বিষয়।
মন্তব্য করুন