
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপিকা রুমানা আলী টুসি বলেছেন, স্কুল—কলেজে আপনারা যখন ওদের (শিক্ষার্থীদের) সাথে কাজ করেন ক্লাসে যান ওদেরকে উৎসাহ দিতে হবে। বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে হবে। পড়ার বইয়ের পাশাপাশি যে বই পড়লে বিজ্ঞান চর্চাকে এগিয়ে নেয়া যায়। বাচ্চাদের বই মুখী করতে হবে, যাতে জ্ঞান চর্চার জায়গাটা উন্মুক্ত থাকে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ শামসুল আলম প্রধান, শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আল মামুন, শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ পিয়ারা নার্গিস, শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহ্ জামান, পিয়ার আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ আবুল খায়ের, শ্রীপুর পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মনিরুজ্জামান উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের তাদের প্রদর্শণী নিয়ে বিজ্ঞান মেলায় অংশ নেয়।
পরে তাদের মধ্যে পুরুষ্কার বিতরণ করেন এবং অসহায় দুস্থদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি জানি ওদের (শিক্ষার্থীদের) কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য, সেটা ওরা কিভাবে ব্যবহার করে? ওরা কিন্তু জ্ঞান চর্চার জন্য ব্যবহার করে না। ওদেরকে ওই টুকুতে সহায়তা করবেন, কোন কোন ওয়েব সাইটে গেলে ওদের জ্ঞান বাড়বে। আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা শিক্ষার্থীদের কাছে অনুরোধ শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানের দিকে মনোযোগ দেয়াবেন, যাতে তারা এই চর্চাগুলো ভাল ভাবে করতে পারে। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষা ও বিজ্ঞান চর্চার উপর জোর দিতে হবে। কোথায় কি সমস্যা হচ্ছে দেখবেন। বিজ্ঞান চর্চার উপরে আমরা যদি শিক্ষাটা ভাল ভাবে না দিতে ওদের তাল মিলিয়ে চলাটা সমস্যা হবে যাবে। যেহেতু তথ্য প্রযুক্তির যোগ।
সরকারের বিজ্ঞান বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই বিজ্ঞান চর্চা ও তথ্য প্রযুক্তির উপর জোর দিয়েছিলেন। এই কাজ গুলো পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশের সাথে একটা সম্পৃক্ততা তৈরী করে দেয়। সামনে যে তোমরা এগিয়ে যাবে তোমাদের এই এগিয়ে যাওয়ার পেছনে এই বিষয়গুলো কাজ করবে। সারা বিশ^ বিজ্ঞান, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাথ নিয়ে কাজ করছে।
এবিষয় বিবেচনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অনুষ্ঠান গুলো আয়োজন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে একটা সময় ১৬ই ডিসেম্বর আসলে স্কুল বন্ধ রাখা হতো।
ইতিহাস বইয়ের মধ্যে উল্লেখ করা হতো না, ২৫ই মার্চ, ২৬ই মার্চ, ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবি হত্যা দিবস এই জায়গাগুলো ইতিহাস থেকে একেবারে দুরেই রাখা হতো আবার স্কুল বন্ধ রাখা হতো।
কিন্তু কেউ জানতো না ইতিহাসটি কি, কেন আমরা দিনটি পালন করছি, কেন আমরা ২৬ শে মার্চ পালন করছি, কেউ আমরা কিছুই জানতে পারতাম না। আমরা জানলেও ইতিহাসকে গোপন করে রাখছে এবং জানতে দিচ্ছে না। একটি জাতি যদি তার জন্মের কথাই না জানে, তুমি কে কি তোমার পরিচয় তাহলে আমরা জাতিগত ভাবে কতদুর যেতে পারবো। সেই জায়গা থেকে স্বাধীনতা চর্চা শুরু করেছিল।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা সেগুলো পুনরুদ্ধারে কাজ করছেন।
মন্তব্য করুন