
মুলাদীতে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে রুবেল সাহা কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। রুবেল সাহার ছোট ভাই রুমন সাহা জানান বুধবার সকাল ৯ ঘটিকায়র সময় বাড়ি থেকে মুলাদীর উদ্দেশ্য রওনা হলে।
পূর্ব পরিকল্পিত জাগরণী চৌরাস্তার কাছে মোকসেদ আকনের বাড়ির সামনে। ওথপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা ধারালো রাম দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ডান হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং গুরুতর অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। তার চিৎকারের শব্দে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী থানা কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে। কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
রুবেল সাহা,৩৮ পিতা মৃত্যু সিকান্দার সাহা গ্রাম টুমচর। তিনি বাটামারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
স্হানীয় সুত্রে জানা যায় বিগত ২০-২৫ বছর যাবত আকন গ্রুপ ও হাজী গ্রুপের মধ্যে বিরাজমান দ্বন্দ্ব চলে আসছিল এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত হত্যা হয়েছে ২৮ টি ডাকাতি হয়েছে ৭ টি নারী ও শিশু মামলা হয়েছে ১২০ টি অপহরণ মামলা হয়েছে ২২ টি অন্যান্য অপরাধ সংগঠিত হয়েছে ৭৫৭ টি এমনকি চলিতে বছরের এপ্রিলে বাটামারা ও সফিপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনা দাওয়া পাল্টা ধাওয়া এলাকার পরিবেশ অশান্ত হয়ে ওঠে এমন কি মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন সামাজিক অপকর্মে লিপ্ত হয় ।
এমন অবস্থায় বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম এর উদ্যোগে মুলাদী সীমান্তবর্তী এলাকায় হাজী গ্রুপ ও আকন গ্রুপের মাঝে শান্তির আলোচনা নিয়ে আলোচনা করা হলে দীর্ঘদিনের চলমান দুইটি পক্ষের সহিংসতা নির্মূলে মুলাদী থানা পুলিশ আয়োজিত শান্তি চুক্তি সম্পাদন করা হয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থায়ী পুলিশ ফাড়ির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও শান্তির সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলেও ঠিক তার পাঁচ মাস ১২ দিন পরে অশান্ত হয়ে উঠলো বাটামারা।
বাটামারা ইউনিয়নের জাগরণী বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই রহমান,জানান সকাল ৯ ঘটিকায়র সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন। করেন ও আলামত সংগ্রহ করেন এ বিষয়ে কাউকে গ্রেফতার হননি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন