কলাপাড়ায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব গাম্বির্যের মধ্যে দিয়ে ১৬ ই ডিসেম্বর ৫৩তম মহান বিজয় দিবসে উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শনিবার উপজেলা প্রশাসনের উৎদ্যোগে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এসময় আওয়ামীলীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহ শহীদদের স্মরনে পুস্পস্তবক অর্পণ, র‍্যালী, আলোচনা সভা ও দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেয়।

এদিন প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয় এবং সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি আধা সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে বিজয় র‍্যালী, সকাল ৮ টায় সরকারি মোজাহার বিশ্বাস ডিগ্রী কলেজ মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড্ডয়ন ৮ টা ২০মিনিটে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন সর্বশেষ পুরস্কার বিতরনী। এতে কলাপাড়ার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসন অংশগ্রহণ করে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে পটুয়াখালী-৪, কলাপাড়া আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মো: মহিব্বুর রহমান মুহিব, সাবেক এমপি ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার, পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল আলম বাবুল খান, প্রেসক্লাব সভাপতি মো. হুমায়ুন কবিরসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী, গনমাধ্যমকর্মী ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর বেলা সাড়ে ১১ টায় মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ হলরুমে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, জহুরবাদ মসজিদ, মন্দির, গীর্জায় ও প্যাগোডায় জাতীর শান্তি ও অগ্রগতি কামনায় দোয়া ও বিশেষ প্রার্থনা। দুপুরে হাসপাতাল, এতিমখানায় খাবার পরিবেশন, দুপুর ২.৩০ মি: খেপুপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন বনাম পায়রাবন্দরের মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট খেলা, বিকেল ৩.৩০ মি: মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রী কলেজ মাঠে উপজেলা প্রশাসন বনাম কলাপাড়া পৌরসভার মধ্যে প্রীতি ফুটবল খেলা, বিকেল ৩.৩০ মি: মঙ্গলসুখ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মহিলাদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান, সর্বশেষ সন্ধ্যা ৬ টায় জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বি নির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।