নওগাঁর আত্রাই উপজেলার হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের চকশিমলা গ্রামের মো.রফিকুল ইসলামের ছেলে ফিরোজ সারোয়ার(২৮)নামের যুবকের বিরুদ্ধে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক বিধবা নারীকে সর্বশান্ত করার অভিযোগ উঠেছে।

প্রতারণার শিকার হওয়া বিধবা নারী জান্নাতুন জানিয়েছেন,আত্মীর বাসায় যাওয়া আসা সুবাদে পরিচয় এরপর প্রেমের অভিনয় করে ফিরোজ হাতিয়ে নেয় মোটা অঙ্কের টাকা। সরল বিশ্বাসে প্রেমের ফাঁদে পরে সর্বস্ব প্রেমিকের কাছে সপে দিয়ে এখন সর্বশান্ত ঐ নারী। সম্প্রতি ঘটনাটি জানাজানি হলে প্রতারণার শিকার হওয়া ওই নারী কে প্রতারক ফিরোজ ও তার পরিবার নানা রকম হুমকি দিয়ে আসছে বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, কয়েক বছর আগে ফিরোজের সাথে জান্নাতুনের পরিচয়ের পর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে ফিরোজের কথায় মুগ্ধ হয়ে প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করে জান্নাতুন। প্রেমিকার দূর্বলতা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে জান্নাতুনের কাছ থেকে টাকা নেয়া শুরু করে ফিরোজ।

বিবরণে আরো জানা যায়,ফিরোজ সারোয়ার একজন প্রতারক, প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মেয়েদের ব্যাকমেইল করে ইনকাম করা তাঁর নেশা। এব্যপারে দফায় দফায় বৈঠক হলেও সঠিক সমাধান করা সম্ভব হয়নি। যদিও ইউপি সদস্য আজিজার রহমান চেষ্টা করেছেন এবং তাঁর কাছে ফাঁকা ষ্ট্যাম্প ও ব্যাংক চেক আছে। ইউপি সদস্য আজিজারের যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান গত ২৮ তারিখে বৈঠকের কথা ছিল। বিবাদী অনুপস্থিত তাই কিছু করা সম্ভব হয়নি। ষ্ট্যাম্প ও চেক এর কথা বললে তিনি জানান,চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা করা হবে।

গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন,ছেলেটির পারিবারিক অবস্থা ভালো না কিন্তু তাঁর চলাফেরার ধরণ আলাদা। দীর্ঘ দিন থেকে শুনেছি ছেলেটি বিভিন্ন জায়গায় এরকম অকাজ কু-কাজ করে বেড়ায়। বললে দূরসম্পর্কের এক ভগ্নীপতি (জিয়া চেয়ারম্যানের ডান হাত) ও স্থানীয় নেতাদের প্রভাব দেখায়।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী প্রতারক ফিরোজ সারোয়ার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে সাংবাদিকদের জানান। তবে মুঠোফোনে জানতে চাইলে অভিযুক্ত যুবক ফিরোজ সারোয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা।ভিডিও এবং ষ্ট্যাম্প ও ব্যাংক চেকের কথা জানতে চাইলে ফোনটি কেটে দেন।