পটুয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে আধুনিক কেঁচো সার ব্যবহার করে ধান ও সবজি চাষে সফলতায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কুয়াকাটা সহ উপকূলীয় এলাকার লবনাক্ত মাটিতে রাসায়নিক সার পরিহার করে জৈব সার ব্যবহার করে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে সফলতার দ্বার প্রান্তে এ অঞ্চলের শত শত কৃষক। এ সফলতার বার্তা সর্বত্র পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘কারিতাস বরিশাল অঞ্চল’ প্রয়াস প্রকল্পের উদ্যোগে প্রগতিশীল কৃষক ননী সৈদ্যাল এর ধান ও সবজি ক্ষেতে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে কৃষক মাঠ দিবস পালন করা হয়।
সভায় কৃষক ননী সৈদ্যাল বলেন, কীটনাশক সারের প্রয়োগ কমিয়ে কেঁচো ও জৈব সার ব্যবহার করে সকল প্রকার সব্জি চাষে অধিক ফলন পেয়েছি, যা প্রতি বছরের তুলনায় দ্বিগুন। কৃষি কাজে সফলতা আনতে তথা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সহনশীল চাষাবাদে কীটনাশক সারের প্রয়োগ কমিয়ে কেঁচো ও জৈব সার ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ দিবস পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘কারিতাস’ প্রয়াস প্রকল্পের কলাপাড়ার মাঠ কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেন।
এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলার (লতাচাপলী) উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, মোঃ রাশেদুল হাসান, উপকূলীয় মানব উন্নয়ন সংস্থা (সিকোডা)’র নির্বাহী পরিচালক ও কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান প্রমুখ।
এছাড়া কারিতাস প্রয়াস প্রকল্প’র (এ এন্ড এলপিইডাব্লিউ, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, অসিম কুমার বিশ্বাস সহ প্রয়াস প্রকল্প’র অন্যান্য কর্মী বৃন্দসহ স্থানীয় শতাধীক প্রান্তিক চাষি। আলোচনা সভায় মাঠ দিবসের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে কেঁচো ও উন্নতমানের ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন, ব্যবহার তথা সব্জির ক্ষেত উঁচু, বস্তা পদ্ধতিতে শাক সব্জি চাষ ও মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে অতি বৃষ্টি ও খরায় অধিক ফলন সম্ভব বিধায় সকলকে এ বিষয় সচেতন হওয়ার আহবান করা হয়।
পরে স্থানীয় কৃষক ননী সৈদ্যাল এর ধান ও সব্জি ক্ষেতে ভার্মি কম্পোস্ট (জৈব সার) ব্যবহারে অধিক ফলন পাওয়ায় তাদের ফসলী মাঠ পরিদর্শন করা হয়। মাঠ দিবস পালন সম্পর্কিত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কারিতাস প্রয়াস প্রকল্প’র (এ এন্ড এলপিইডাব্লিউ) বেঞ্জামিন স্বপন গোমেজ।