
১১৪, পটুয়াখালী-৪, (কলাপাড়া-মহিপুর-রাঙ্গাবালী) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন প্রায় ২ ডজন এমপি প্রার্থী। এদের মধ্যে ক’জন হেভিওয়েট প্রার্থী ছাড়া অধিকাংশই তরুন. তবে বেশ কয়েকজন এলাকায় একদম অপরিচিত। দলীয় কোন কর্মসূচীতে তাদের কখনো দেখেওনি কেউ, এমনটা বলছেন স্থানীয়রা। এছাড়া আইন প্রনেতার সাংবিধানিক এ পদটি পেতে দলীয় ফরম ক্রয়ে নির্বাচনী এলাকায় মুখরোচক আলোচনা শোনা যাচ্ছে অনেককে নিয়েই। ২/৩ দিনের মধ্যেই মনোনয়ন ঘোষনা হলে অপেক্ষার প্রহর কেটে যাবে বলে জানান ক্ষমতাসীন দলের একাধিক সূত্র।
সূত্রে জানা যায়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪, আসনে নৌকার মাঝি হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ২০ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। এদের মধ্যে বর্তমান এমপি অধ্যক্ষ মো. মহিব্বুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমান, তাঁর ছোট ভাই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মো. হাবিবুর রহমান মিলন, বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসান, বর্তমান পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, তাঁর পুত্র কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য বিকাশ চন্দ্র হাওলাদার, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সৈয়দ নাসির উদ্দীন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদার, বর্তমান সাংসদ সদস্যদের স্ত্রী উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ ফাতেমা আক্তার রেখা, সাবেক ছাত্রনেতা, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার মিল্টন, আব্দুল্লাহ আল ইসলাম লিটন, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার জুনায়েদ হাসিব, আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ আখতারুজাম্মান কোক্কা, তাঁর পুত্র যুবলীগ নেতা সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু, ইঞ্জিনিয়ার মো. নাসির উদ্দিন, শহিদুল্লাহ ওসমানী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম বাবুল, মো. বাশেদ সিমন, গৌতম চন্দ্র হাওলাদার প্রমূখ।
সূত্রে আরো জানা যায়, অফেরত যোগ্য ৫০ হাজার টাকা করে প্রত্যেকেই দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরম সংগ্রহ করেছেন। এদের মধ্যে অনেকের নির্বাচন করার মত ক্লিন ইমেজ, আর্থিক স্বচ্ছলতা কিংবা জনপ্রিয়তা কোনটাই নেই। তবুও তারা এমপি হওয়ার প্রার্থীতা পোষন করছেন। তবে ২/৩ দিনেই অপেক্ষার প্রহর কেটে যাবে। এরপর চাপা পড়ে যাবে এদের নাম। যেমনটা এর আগেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩২জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ কারীর নাম এসেছিল আলোচনায়। মনোনয়ন ঘোষনার পর চাপা পড়ে যায় তাদের নাম।
কলাপাড়া উপজেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক কমরেড নাসির তালুকদার বলেন, একজন আইন প্রনেতার পদটি সাংবিধানিক। এটি রাষ্ট্রের বড় একটি পদ এবং এ পদের দায়িত্ব মহান। রাষ্ট্র বিনির্মানে তাদের মূল্যবান ভূমিকা রাখতে হয়। সুতরাং তাদের যোগ্যতা ও সামর্থের প্রশ্ন আছে। কিন্তু এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন প্রশ্নে আমরা এগুলো ক্রমশ: ভাবনা-চিন্তা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন