সম্প্রতি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনকে পুঁজি করে কিছু মহল দেশের পোশাক খাতে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির পাঁয়তারা করছে। এসব দুষ্কৃতিকারীদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা তৎপরতার পাশাপাশি সাইবার মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে। যারা এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে তাদের আটকে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন নিয়ে পেছন থেকে যারা দেশের পোশাক খাতে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

শনিবার দুপুরে সাভারের আশুলিয়ায় নবীনগর র‌্যাব ক্যাম্পে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সম্প্রতি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনকে পুঁজি করে কিছু মহল দেশের পোশাক খাতে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির পাঁয়তারা করছে। এসব দুষ্কৃতিকারীদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা তৎপরতার পাশাপাশি সাইবার মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে। যারা এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে তাদের আটকে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমাদের শান্তিপ্রিয় শ্রমিকদের ভুল তথ্য ও গুজবের মাধ্যমে বা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য উস্কানিমূলক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে অরাজকতা, সহিংসতা বা নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যারা এই গার্মেন্টস শিল্পকে নিয়ে অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি করছে, তাদের আমরা অনেককে আইডেন্টিফাই করতে পেরেছি। তাদের বেশ কয়েকজনকে ইতোমধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে যারা এই শিল্প নিয়ে পেছন থেকে হোক বা মাঠ থেকে হোক অরাজকতা করার চেষ্টা করবে আইনের আওতায় আনব। ইতোমধ্যে যেখানে যেখানে গার্মেন্টস বেশি রয়েছে এই স্থানগুলোতে আমাদের র‌্যাবের টহল বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পুলিশ এবং বিজিবির সঙ্গে আমরা যৌথ পেট্রল করছি। যেকোনো ধরনের নাশকতা এবং সহিংসতা রোধে আমাদের এই পেট্রল কার্যক্রম চলমান থাকবে।

কঠিন আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়ে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, যারা এই শান্তিপ্রিয় শ্রমিক ভাইদের নিয়ে নাশকতা সহিংসতার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় দুষ্কৃতিকারীরা চোরাগুপ্ত হামলা থেকে সহিংসতা চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধেও আমাদের আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।