
বরিশালের গৌরনদীতে স্ত্রী খাদিজা বেগম (৩০)কে হত্যা করে আত্মহত্যার প্রচারনা চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্বাশী ও শ^শুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে ওই গৃহবধু’র লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তবে নিহতের স্বজনদের দাবী স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা পরিকল্পিত ভাবে খাদিজাকে হত্যা করে আত্মহত্যার প্রচারনা চালাচ্ছে।
নিহত খাদিজা গৌরনদী উপজেলার কালনা গ্রামের নাঈম মল্লিকের স্ত্রী ও পাশর্^বর্তী কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া গ্রামের শাহজাহান চৌকিদারের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে স্বামী নাঈম মল্লিক গা-ঢাকা দিয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
নিহতের ভাই রুহুল আমীন অভিযোগ করে বলেন, গত ১২ বছর পূর্বে গৌরনদীর কালনা গ্রামের বাদশা মল্লিকের ছেলে নাইম মল্লিকের সাথে আমার বোন খাদিজার সামজিক ভাবে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে আমার বোনকে বিভিন্ন কারণে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিলো ভগ্নিপতি নাইম মল্লিক। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতের কোন এসময় ভগ্নিপতি নাঈম মল্লিক ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিত ভাবে খাদিজাকে হত্যার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আহ্মহত্যার প্রচারনা চালায়।
অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, বোন জামাতা নাইম সম্প্রতি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি আমার বোন জানতো তাই এ কারণে খাদিজাকে হত্যা করে আত্মহত্যার প্রচারনা চালাচ্ছে। তবে এবিষয়ে নাইম মল্লিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নিহতের ভাসুর সেন্টু মল্লিক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় খাদিজাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এবিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে গৌরনদী হাসপাতাল থেকে খাদিজার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে পরিদর্শক মো. হেলাললউদ্দিন জানান।
মন্তব্য করুন