সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি খুশির দিন শারদীয় দূর্গা পূজা। দূর্গা পূজা তাদের কাছে একটি বড় ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসহ উপজেলার ১৪টি পূজা মন্ডপে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিমা তৈরী ও সাজসজ্জার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
আজ ১৯ অক্টোবর ৫মী, আগামীকাল (শুক্রবার) ৬ষ্ঠীতে শুরু হবে দূর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) মহাদশমীর মাধ্যমে দূর্গা পূজার সমাপ্তি হবে। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরসহ উপজেলার প্রায় প্রতিটি মন্দিরে ৪ দিনব্যাপী নানা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, সকল সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে বইছে উৎসবের আমেজ। ৪ দিনব্যাপী পূজা উদযাপনের জন্য নিচ্ছেন শেষ সময়ের প্রস্তুতি। তবে এবারের দূর্গা পূজায় নিরাপত্তা রক্ষার্থে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার নির্দেশনা রয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরের পূজা পরিচালনা পর্ষদের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা পৌরশহরে চারটি এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের মোট ১৪ টি মন্ডপে দূর্গা পূজা উদযাপিত হবে এবছর। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর কিছু সদস্যরা ইতোমধ্যে মন্দিরের মধ্যে দায়িত্ব পালন করছে।
আগামীকাল ৬ষ্ঠী’ শুক্রবার থেকে টানা পাঁচদিন চলবে জাঁকজমকপূর্ন পরিবেশে শারদীয় দূর্গোৎসব। এ উপলক্ষে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরসহ উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরে ৪-৫ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
তবে দুর্গা পূজা পর্ষদের প্রতিনিধিরা বিশেষ করে জানান, ধর্মীয় পরিবেশে সকল ধর্মের নীতি আদর্শের ভাবমূর্তি রক্ষা করে দূর্গা পূজা উদযাপন করা হবে। কুয়াকাটায় পর্যটক সমাগমের কেন্দ্রস্থল হিসেবে জোরদার করা হয়েছে প্রশাসনের বাড়তি নিরাপত্তা ব্যাবস্থা।
তারা আরো বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক পর্যটক এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীরা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পূজা ও ভ্রমন একসাথে সম্পন্ন করার উদ্দেশ্য এসে থাকেন। ধর্মীয়দের জন্য মন্দিরের পক্ষ থেকে রয়েছে নিরামিশ খাবার ও স্বল্প পরিসরে থাকার ব্যাবস্থা।
এদিকে দুর্গা পুজা সুন্দর পরিবেশে উদযাপনের জন্য সকল প্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে বলে জানান কলাপাড়া থানার ওসি মো: আলী আহম্মেদ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গা পূজা উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন সকল প্রস্তুতি নিয়েছেন।
উপজেলা সকল পূজা মন্ডপ গুলোতে সার্বক্ষনিক দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে আইন সৃঙ্খলা বাহিনি। সকল পূজামন্ডবে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন।